শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

‘কোচিং-ক্যাপ্টেন্সি সবই আমি করলে তো সমস্যা’

#
news image

তৃতীয়বারের মতো অধিনায়কত্ব পেয়ে প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা কেমন? ম্যাচের পর প্রশ্ন শুনে সাকিবের উত্তর- 'ভালো'! তার এই ভালো বলার মধ্যে যে তীক্ষ্ণ খোঁচা রয়েছে, সেটা কি বুঝতে পারছেন তাঁর ড্রেসিংরুমের সদস্যরা? বেশিরভাগেরই না বোঝার বোধটা প্রখর।
কেননা এমন হার তো তাঁদের কাছে নতুন কিছু নয়। আবারও মাঠে নামা হবে, আবারও দুই ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মিলবে। তার কোনো একটাতে অন্তত ত্রিশ পেরোতে পারলেই পাস! দলের এই সংস্কৃতিকে বাড়তে দেওয়ার প্রশ্রয়টা ব্যাটাররা পেয়ে আসছেন বেশ ক'বছর ধরেই। 
দলের কেউ খারাপ করলে তাঁকে আগলে রাখার একটা অভ্যাসও তৈরি হয়েছে। যেন অধিনায়ককে বলতেই হবে, 'অমুক ভালো ব্যাটসম্যান, তমুক তো দলের জন্য এত কিছু করেছে। অমুকের ওপর ভরসা আছে, সে করবেই।' 
ক্যামেরার সামনে অধিনায়কের এসব বলার দিন বোধহয় শেষ। অ্যান্টিগায় চার দিনেই ম্যাচ হারার পর সাকিব ক্যামেরার সামনে বসেই পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, তাঁর দলের বেশিরভাগ ব্যাটারেরই টেকনিকে সমস্যা আছে। যে কারণে ম্যাচের পর ম্যাচ দলের ইনিংসগুলো একশর আশপাশে গিয়েই থেমে যাচ্ছে।
সাকিবকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, জাতীয় দলের এই পর্যায়ে এসে কোনো ব্যাটারের নিশ্চয়ই টেকনিকে সমস্যা থাকতে পারে না? আপনার কি মনে হয় সমস্যা মানসিক? অতীতে কোনো অধিনায়ককে এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তর হয়তো আসত এমন- মানসিক সমস্যা রয়েছে। অনেক দিন ধরে রান না পেলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকে। 
আগের দিন কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও ওই 'আত্মবিশ্বাস তলানি' কথাটি বলেছিলেন। কিন্তু সাকিব যে আর সবার মতো নন, সেটা জানা আছে সবার। তাই তার উত্তর, ‘কে বলেছে টেকনিকে সমস্যা নেই। আমাদের বেশিরভাগ ব্যাটারই টেকনিক্যালি সাউন্ড না।’
কোনো রাখঢাক না রেখেই সাকিব কঠিন সত্যটি বলে দিয়েছেন। এটাও জানিয়েছেন, এই ম্যাচ ঘিরে খুব বেশি প্রত্যাশাও তাঁর ছিল না। ‘সত্যি কথা বলতে কী, এই টেস্ট ঘিরে খুব বেশি প্রত্যাশা আমার ছিল না। তবে এই কন্ডিশনে আমাদের ভালো করার একটা সুযোগ ছিল। আফসোস, সেই সুযোগ আমরা হারালাম। প্রথম সেশনের পর থেকেই আমরা ম্যাচটিতে পিছিয়ে ছিলাম। তারপর যে কয়েকটা সেশন ছিল সেগুলোতে আমরা রিকভারি প্রসেসে ছিলাম। সামনে যেতে পারিনি। ওটাই আফসোস।’
অধিনায়ক হয়ে সাকিব নিজে যেটুকু লড়াই করেছেন বাকিরা যদি তার কাছাকাছিও করতে পারত তাহলেও অন্তত এই টেস্টে উইন্ডিজকে চ্যালেঞ্জে রাখা যেত। উদাহরণ দিতে গিয়ে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসের কথাই টানলেন। 
‘আমাদের বেশিরভাগ ব্যাটারই রান পায়নি। তার পরও আমরা আড়াইশর কাছাকাছি করেছি। যদি বাকিরা কিছু করত তাহলে নিশ্চয়ই আরও রান হতো।' 
বাকিদের ব্যাটিং টেকনিকে যে সমস্যা, সেটা নিয়ে অধিনায়ক কি কোচের সঙ্গে কথা বলেছেন? সাকিবের উত্তর- ‘আমি কেন এটা বলতে যাব। কোচ বলবে এটা। আমি যদি অধিনায়কত্বও করি আবার কোচিংও করাই, তাহলে তো সমস্যা। আমি আমার অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করি, বাকিরাও যে যার দায়িত্ব সেটা পালন করলেই হবে।'
অযথা বিতর্কে না জড়িয়ে কোচের দিকেই বল ঠেলে দিয়েছেন সাকিব। দিনের পর দিন চাপিয়ে দেওয়া দল, অদক্ষ ব্যাটার নিয়েই তো চলছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। মিডিয়ায় না বলুক, কখনও কি তিনি সাহস করে বিসিবি সভাপতিকেও ড্রেসিংরুমের কঠিন সত্যগুলো বলতে পেরেছেন। জানাতে পেরেছেন কি, এই দলের একটা অলিখিত সাইকেল রয়েছে, যেখানে কিনা কেউ খারাপ করলে আরেকজন এসে ঢাল হয়ে দাঁড়ান। যাতে কিনা তাঁর খারাপ সময়ে পাশে পান সবাইকে।
সাকিব জানেন, দু-এক দিনে এসব সংস্কৃতি ভাঙা যাবে না। সময় আর ক্ষমতা পেলে তিনি সেই পদক্ষেপ নেবেন ভবিষ্যতে। এখনই দলের সব কিছু অদলবদলও যে করা যাবে না, সেটাও জানেন অধিনায়ক। 'খুব বেশি পরিবর্তন করলে যে খুব ভালো হবে, তার কোনো গ্যারান্টি নেই। যারা আছে তাদের নিয়েই খেলতে হবে। ব্যাটাররা যদি নিজের নিজের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করে তাহলে সবকিছুর সমন্বয়ে এই অবস্থা থেকে বের হওয়া সম্ভব। কারও একার প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব নয়।' 
মুমিনুলকে বিশ্রাম দেওয়ার প্রশ্নেও সাকিবের ইঙ্গিত সিদ্ধান্তটা মুমিনুল নিলেই ভালো, 'মুমিনুলের সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হয়। ও যদি মনে করে ওর বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন, সেটা ওর সিদ্ধান্ত। তবে মাত্র একটি ম্যাচ শেষ হয়েছে। এ নিয়ে কথা না বলাই ভালো। হাতে দু'দিন সময় রয়েছে, তারপর দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ে ভাবা যাবে।'

ব্যাটসম্যানদের সমস্যাটা কোথায়? পরপর কয়েকটা টেস্টে ব্যাটিং ধসের পর বাংলাদেশের টেস্ট দলের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন? অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যর্থতার পর একই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হলো টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও। সাকিবও কোনো রাখঢাক না রেখেই ব্যাটসম্যানদের টেকনিকের সমস্যার বিষয়টি সামনে নিয়ে এলেন।
সাকিবের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ দলে ‘টেকনিক্যালি নিখুঁত’ ব্যাটসম্যান খুব বেশি নেই। এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কী করতে হবে, সেই পরামর্শও দিয়েছেন সাকিব, ‘টেকনিক্যালি অনেক সমস্যা আছে। আমাদের টেকনিক্যালি সাউন্ড খুব বেশি ক্রিকেটার নেই। সবারই অনেক টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। কিন্তু তাদের উপায় বের করতে হবে কীভাবে ক্রিজে থাকতে হবে, কীভাবে রান করতে হবে। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা যার যার ব্যক্তিগত পর্যায় থেকেই আসতে হবে। প্রত্যেককেই দায়িত্ব নিতে হবে, কীভাবে সে রানে ফিরবে।’
টেকনিকের সমস্যা শোধরানোর দায়িত্বটা জাতীয় দলের কোচদেরও। অধিনায়ক হিসেবে সাকিব এখানে নিজের তেমন কোনো ভূমিকা দেখান না। তাঁর চাওয়া, কোচ ও ক্রিকেটার — সবাই যেন যে যাঁর জায়গা থেকে দায়িত্বটা পালন করেন। 
এ ব্যাপারে সাকিবের স্পষ্ট কথা, ‘দেখুন, এটা আসলে আমার বিষয় না। কোচেরই আলোচনা করার বিষয়। আমি যদি কোচিংও করাই, অধিনায়কত্বও করি, তাহলে তো সমস্যা। আমার কাজ যতটুকু, ওইটুকুতেই যদি থাকি, তাহলে আমার জন্য ভালো। আমার দায়িত্ব যতটুকু, ততটুকুই পালনের চেষ্টা করব। বাকি যাঁরা আছেন, সবাই তাঁদের জায়গা থেকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে সবার জন্য কাজটা সহজ হবে।’

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২১ জুন, ২০২২,  12:59 AM

news image

তৃতীয়বারের মতো অধিনায়কত্ব পেয়ে প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা কেমন? ম্যাচের পর প্রশ্ন শুনে সাকিবের উত্তর- 'ভালো'! তার এই ভালো বলার মধ্যে যে তীক্ষ্ণ খোঁচা রয়েছে, সেটা কি বুঝতে পারছেন তাঁর ড্রেসিংরুমের সদস্যরা? বেশিরভাগেরই না বোঝার বোধটা প্রখর।
কেননা এমন হার তো তাঁদের কাছে নতুন কিছু নয়। আবারও মাঠে নামা হবে, আবারও দুই ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মিলবে। তার কোনো একটাতে অন্তত ত্রিশ পেরোতে পারলেই পাস! দলের এই সংস্কৃতিকে বাড়তে দেওয়ার প্রশ্রয়টা ব্যাটাররা পেয়ে আসছেন বেশ ক'বছর ধরেই। 
দলের কেউ খারাপ করলে তাঁকে আগলে রাখার একটা অভ্যাসও তৈরি হয়েছে। যেন অধিনায়ককে বলতেই হবে, 'অমুক ভালো ব্যাটসম্যান, তমুক তো দলের জন্য এত কিছু করেছে। অমুকের ওপর ভরসা আছে, সে করবেই।' 
ক্যামেরার সামনে অধিনায়কের এসব বলার দিন বোধহয় শেষ। অ্যান্টিগায় চার দিনেই ম্যাচ হারার পর সাকিব ক্যামেরার সামনে বসেই পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, তাঁর দলের বেশিরভাগ ব্যাটারেরই টেকনিকে সমস্যা আছে। যে কারণে ম্যাচের পর ম্যাচ দলের ইনিংসগুলো একশর আশপাশে গিয়েই থেমে যাচ্ছে।
সাকিবকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, জাতীয় দলের এই পর্যায়ে এসে কোনো ব্যাটারের নিশ্চয়ই টেকনিকে সমস্যা থাকতে পারে না? আপনার কি মনে হয় সমস্যা মানসিক? অতীতে কোনো অধিনায়ককে এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তর হয়তো আসত এমন- মানসিক সমস্যা রয়েছে। অনেক দিন ধরে রান না পেলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকে। 
আগের দিন কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও ওই 'আত্মবিশ্বাস তলানি' কথাটি বলেছিলেন। কিন্তু সাকিব যে আর সবার মতো নন, সেটা জানা আছে সবার। তাই তার উত্তর, ‘কে বলেছে টেকনিকে সমস্যা নেই। আমাদের বেশিরভাগ ব্যাটারই টেকনিক্যালি সাউন্ড না।’
কোনো রাখঢাক না রেখেই সাকিব কঠিন সত্যটি বলে দিয়েছেন। এটাও জানিয়েছেন, এই ম্যাচ ঘিরে খুব বেশি প্রত্যাশাও তাঁর ছিল না। ‘সত্যি কথা বলতে কী, এই টেস্ট ঘিরে খুব বেশি প্রত্যাশা আমার ছিল না। তবে এই কন্ডিশনে আমাদের ভালো করার একটা সুযোগ ছিল। আফসোস, সেই সুযোগ আমরা হারালাম। প্রথম সেশনের পর থেকেই আমরা ম্যাচটিতে পিছিয়ে ছিলাম। তারপর যে কয়েকটা সেশন ছিল সেগুলোতে আমরা রিকভারি প্রসেসে ছিলাম। সামনে যেতে পারিনি। ওটাই আফসোস।’
অধিনায়ক হয়ে সাকিব নিজে যেটুকু লড়াই করেছেন বাকিরা যদি তার কাছাকাছিও করতে পারত তাহলেও অন্তত এই টেস্টে উইন্ডিজকে চ্যালেঞ্জে রাখা যেত। উদাহরণ দিতে গিয়ে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসের কথাই টানলেন। 
‘আমাদের বেশিরভাগ ব্যাটারই রান পায়নি। তার পরও আমরা আড়াইশর কাছাকাছি করেছি। যদি বাকিরা কিছু করত তাহলে নিশ্চয়ই আরও রান হতো।' 
বাকিদের ব্যাটিং টেকনিকে যে সমস্যা, সেটা নিয়ে অধিনায়ক কি কোচের সঙ্গে কথা বলেছেন? সাকিবের উত্তর- ‘আমি কেন এটা বলতে যাব। কোচ বলবে এটা। আমি যদি অধিনায়কত্বও করি আবার কোচিংও করাই, তাহলে তো সমস্যা। আমি আমার অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করি, বাকিরাও যে যার দায়িত্ব সেটা পালন করলেই হবে।'
অযথা বিতর্কে না জড়িয়ে কোচের দিকেই বল ঠেলে দিয়েছেন সাকিব। দিনের পর দিন চাপিয়ে দেওয়া দল, অদক্ষ ব্যাটার নিয়েই তো চলছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। মিডিয়ায় না বলুক, কখনও কি তিনি সাহস করে বিসিবি সভাপতিকেও ড্রেসিংরুমের কঠিন সত্যগুলো বলতে পেরেছেন। জানাতে পেরেছেন কি, এই দলের একটা অলিখিত সাইকেল রয়েছে, যেখানে কিনা কেউ খারাপ করলে আরেকজন এসে ঢাল হয়ে দাঁড়ান। যাতে কিনা তাঁর খারাপ সময়ে পাশে পান সবাইকে।
সাকিব জানেন, দু-এক দিনে এসব সংস্কৃতি ভাঙা যাবে না। সময় আর ক্ষমতা পেলে তিনি সেই পদক্ষেপ নেবেন ভবিষ্যতে। এখনই দলের সব কিছু অদলবদলও যে করা যাবে না, সেটাও জানেন অধিনায়ক। 'খুব বেশি পরিবর্তন করলে যে খুব ভালো হবে, তার কোনো গ্যারান্টি নেই। যারা আছে তাদের নিয়েই খেলতে হবে। ব্যাটাররা যদি নিজের নিজের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করে তাহলে সবকিছুর সমন্বয়ে এই অবস্থা থেকে বের হওয়া সম্ভব। কারও একার প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব নয়।' 
মুমিনুলকে বিশ্রাম দেওয়ার প্রশ্নেও সাকিবের ইঙ্গিত সিদ্ধান্তটা মুমিনুল নিলেই ভালো, 'মুমিনুলের সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হয়। ও যদি মনে করে ওর বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন, সেটা ওর সিদ্ধান্ত। তবে মাত্র একটি ম্যাচ শেষ হয়েছে। এ নিয়ে কথা না বলাই ভালো। হাতে দু'দিন সময় রয়েছে, তারপর দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ে ভাবা যাবে।'

ব্যাটসম্যানদের সমস্যাটা কোথায়? পরপর কয়েকটা টেস্টে ব্যাটিং ধসের পর বাংলাদেশের টেস্ট দলের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন? অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যর্থতার পর একই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হলো টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও। সাকিবও কোনো রাখঢাক না রেখেই ব্যাটসম্যানদের টেকনিকের সমস্যার বিষয়টি সামনে নিয়ে এলেন।
সাকিবের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ দলে ‘টেকনিক্যালি নিখুঁত’ ব্যাটসম্যান খুব বেশি নেই। এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কী করতে হবে, সেই পরামর্শও দিয়েছেন সাকিব, ‘টেকনিক্যালি অনেক সমস্যা আছে। আমাদের টেকনিক্যালি সাউন্ড খুব বেশি ক্রিকেটার নেই। সবারই অনেক টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। কিন্তু তাদের উপায় বের করতে হবে কীভাবে ক্রিজে থাকতে হবে, কীভাবে রান করতে হবে। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা যার যার ব্যক্তিগত পর্যায় থেকেই আসতে হবে। প্রত্যেককেই দায়িত্ব নিতে হবে, কীভাবে সে রানে ফিরবে।’
টেকনিকের সমস্যা শোধরানোর দায়িত্বটা জাতীয় দলের কোচদেরও। অধিনায়ক হিসেবে সাকিব এখানে নিজের তেমন কোনো ভূমিকা দেখান না। তাঁর চাওয়া, কোচ ও ক্রিকেটার — সবাই যেন যে যাঁর জায়গা থেকে দায়িত্বটা পালন করেন। 
এ ব্যাপারে সাকিবের স্পষ্ট কথা, ‘দেখুন, এটা আসলে আমার বিষয় না। কোচেরই আলোচনা করার বিষয়। আমি যদি কোচিংও করাই, অধিনায়কত্বও করি, তাহলে তো সমস্যা। আমার কাজ যতটুকু, ওইটুকুতেই যদি থাকি, তাহলে আমার জন্য ভালো। আমার দায়িত্ব যতটুকু, ততটুকুই পালনের চেষ্টা করব। বাকি যাঁরা আছেন, সবাই তাঁদের জায়গা থেকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে সবার জন্য কাজটা সহজ হবে।’