ডোনাল্ডের চাওয়া তাসকিনের গতি আর আগ্রাসন

প্রভাতী খবর ডেস্ক
৩০ জুন, ২০২২, 12:35 AM
ডোনাল্ডের চাওয়া তাসকিনের গতি আর আগ্রাসন
দীর্ঘদিন চোটের সঙ্গে লড়াইয়ের পর আবারও মাঠে নামার অপেক্ষায় তাসকিন আহমেদ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই বল হাতে দেখা যাবে তাকে। এরই মধ্যে দলীয় অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন।
নেটে বোলিং শেষে তাসকিন আহমেদকে মাঠের এক কোনে ডেকে নিয়ে অনেকটা সময় নিয়ে কিছু বোঝালেন বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তাসকিন নিজ থেকেও জানতে চাইলেন কিছু।
চার দিনেই শেষ হয়ে যাওয়া সেন্ট লুসিয়া টেস্টের পঞ্চম দিনটা ফাঁকা পেয়ে রাসেল ডমিঙ্গো-ডোনাল্ড-জেমি সিডন্সরা দলের ৯ ক্রিকেটারকে নিয়ে গিয়েছিলেন ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতিটা শুরু হয়ে গেল এদিনই। আর তাতে বিশেষ দ্রষ্টব্য হয়ে থাকল তাসকিন-ডোনাল্ডের মিনিট দশেকের ওই কথোপকথন।
চোটের কারণে গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মধ্যেই মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাসকিনকে। মাঝে খেলতে পারেননি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও।
তাসকিনের বোলিংয়ের মূল শক্তি গতি ও আগ্রাসী বোলিং। চোট থেকে ফিরলেও ডোনাল্ডের চাওয়া তাসকিন তার এই মনোভাব ধরে রাখুক। এ থেকে যেন বের হয়ে আসার চিন্তা না করে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা এক্সপ্রেস।
তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে খুব ভালো লাগলো যে প্রায় তিন মাস পর দলের সঙ্গে পুরোপুরি একটা অনুশীলন সেশন করলাম- বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং সবই। শুরুতে জড়তা থাকলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।’
তাসকিনের সেই ভালো লাগা আরও বেড়ে গেল অন্য এক প্রসঙ্গে। টেস্ট সিরিজটা তিনি না খেললেও অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টের পর তাসকিনকে প্রশংসার বানে ভাসিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বলেছেন, তাসকিনের কাছ থেকে অন্য পেসারদের অনেক কিছু শেখার আছে। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি দেখিয়েছেন একজন খেলোয়াড় চাইলে কীভাবে নিজের জীবনটাই বদলে ফেলতে পারেন। তাঁর এই পরিশ্রম সবাইকেই আরও ভালো করার পথ দেখাবে।
আর এই যে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের ধারটা দিন দিন বাড়ছে, সেটার জন্যও সাকিব কৃতিত্ব দিয়েছেন তাসকিনকে। তাঁকে দেখে পাওয়া অনুপ্রেরণা থেকেই নকি ভালো করার ক্ষুধা অনুভব করছেন অন্য পেসাররা।
প্রসঙ্গটা তুলতেই সলজ্জ হাসি হেসে তাসকিন বলছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের কথাগুলো আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। চেষ্টা করব নিজেকে আরও পরিণত বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে, দলকে কিছু দিতে।’
পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওকে বলেছিলাম যে চোট থেকে ফিরেছি, এখন আমার দায়িত্ব কী হবে? ও বললো, তুমি যে টাইপের বোলার, তোমার কাজ হচ্ছে ফাস্ট এ্যান্ড এগ্রেসিভ। কিছু সময় রান দেবে, কিছু সময় উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতাবে। কিন্তু দায়িত্ব থেকে কখনো নিজেকে সরাবে না। দিন যত যাবে রিদম আরও ভালো হবে।’
টেস্ট সিরিজটা ভালো না কাটলেও বাংলাদেশ দলের এই পেসারের আশা, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে তাঁরা হতাশ করবেন না, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে টেস্ট সিরিজটা আমাদের ভালো যায়নি। ভুলগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে, তবে শুধু এটা নিয়ে বসে থাকা যাবে না। এই মুহূর্তে আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজটার দিকেই তাকিয়ে আছি। চেষ্টা করব ভালো খেলে দেশকে জয় উপহার দিতে।’
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ হবে এবার টি-টোয়েন্টি সংস্করণে, এরপর তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। তাসকিনের চোখও এখন সেদিকেই, ‘প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সামনে টি-টোয়েন্টির বড় বড় ইভেন্ট আছে। এশিয়া কাপ আছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। আমরা এই সিরিজটা জয়ের জন্যই খেলব। যদি এখানে ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারি, সেটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।’
প্রভাতী খবর ডেস্ক
৩০ জুন, ২০২২, 12:35 AM
দীর্ঘদিন চোটের সঙ্গে লড়াইয়ের পর আবারও মাঠে নামার অপেক্ষায় তাসকিন আহমেদ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই বল হাতে দেখা যাবে তাকে। এরই মধ্যে দলীয় অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন।
নেটে বোলিং শেষে তাসকিন আহমেদকে মাঠের এক কোনে ডেকে নিয়ে অনেকটা সময় নিয়ে কিছু বোঝালেন বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তাসকিন নিজ থেকেও জানতে চাইলেন কিছু।
চার দিনেই শেষ হয়ে যাওয়া সেন্ট লুসিয়া টেস্টের পঞ্চম দিনটা ফাঁকা পেয়ে রাসেল ডমিঙ্গো-ডোনাল্ড-জেমি সিডন্সরা দলের ৯ ক্রিকেটারকে নিয়ে গিয়েছিলেন ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতিটা শুরু হয়ে গেল এদিনই। আর তাতে বিশেষ দ্রষ্টব্য হয়ে থাকল তাসকিন-ডোনাল্ডের মিনিট দশেকের ওই কথোপকথন।
চোটের কারণে গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মধ্যেই মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাসকিনকে। মাঝে খেলতে পারেননি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও।
তাসকিনের বোলিংয়ের মূল শক্তি গতি ও আগ্রাসী বোলিং। চোট থেকে ফিরলেও ডোনাল্ডের চাওয়া তাসকিন তার এই মনোভাব ধরে রাখুক। এ থেকে যেন বের হয়ে আসার চিন্তা না করে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা এক্সপ্রেস।
তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে খুব ভালো লাগলো যে প্রায় তিন মাস পর দলের সঙ্গে পুরোপুরি একটা অনুশীলন সেশন করলাম- বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং সবই। শুরুতে জড়তা থাকলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।’
তাসকিনের সেই ভালো লাগা আরও বেড়ে গেল অন্য এক প্রসঙ্গে। টেস্ট সিরিজটা তিনি না খেললেও অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টের পর তাসকিনকে প্রশংসার বানে ভাসিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বলেছেন, তাসকিনের কাছ থেকে অন্য পেসারদের অনেক কিছু শেখার আছে। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি দেখিয়েছেন একজন খেলোয়াড় চাইলে কীভাবে নিজের জীবনটাই বদলে ফেলতে পারেন। তাঁর এই পরিশ্রম সবাইকেই আরও ভালো করার পথ দেখাবে।
আর এই যে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের ধারটা দিন দিন বাড়ছে, সেটার জন্যও সাকিব কৃতিত্ব দিয়েছেন তাসকিনকে। তাঁকে দেখে পাওয়া অনুপ্রেরণা থেকেই নকি ভালো করার ক্ষুধা অনুভব করছেন অন্য পেসাররা।
প্রসঙ্গটা তুলতেই সলজ্জ হাসি হেসে তাসকিন বলছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের কথাগুলো আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। চেষ্টা করব নিজেকে আরও পরিণত বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে, দলকে কিছু দিতে।’
পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওকে বলেছিলাম যে চোট থেকে ফিরেছি, এখন আমার দায়িত্ব কী হবে? ও বললো, তুমি যে টাইপের বোলার, তোমার কাজ হচ্ছে ফাস্ট এ্যান্ড এগ্রেসিভ। কিছু সময় রান দেবে, কিছু সময় উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতাবে। কিন্তু দায়িত্ব থেকে কখনো নিজেকে সরাবে না। দিন যত যাবে রিদম আরও ভালো হবে।’
টেস্ট সিরিজটা ভালো না কাটলেও বাংলাদেশ দলের এই পেসারের আশা, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে তাঁরা হতাশ করবেন না, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে টেস্ট সিরিজটা আমাদের ভালো যায়নি। ভুলগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে, তবে শুধু এটা নিয়ে বসে থাকা যাবে না। এই মুহূর্তে আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজটার দিকেই তাকিয়ে আছি। চেষ্টা করব ভালো খেলে দেশকে জয় উপহার দিতে।’
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ হবে এবার টি-টোয়েন্টি সংস্করণে, এরপর তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। তাসকিনের চোখও এখন সেদিকেই, ‘প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সামনে টি-টোয়েন্টির বড় বড় ইভেন্ট আছে। এশিয়া কাপ আছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। আমরা এই সিরিজটা জয়ের জন্যই খেলব। যদি এখানে ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারি, সেটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে কাজে দেবে।’