শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

চলে গেলেন কিংবদন্তি নির্মাতা তরুণ মজুমদার

#
news image

প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার মারা গেছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন এই চলচ্চিত্র পরিচালক। গত ১৪ জুন তরুণ মজুমদারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয় বলে জানা যায়। পরে সেখানে অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়। কিন্তু সম্প্রতি আবার অবনতি হতে থাকে তার শারীরিক অবস্থার। রোববার তাকে আবারও ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। সেখান থেকে আর তাকে ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকরা। তরুণ মজুমদার ১৯৬২ সালে ‘কাচের স্বর্গ’সিনেমার জন্য ভারতের প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান। মোট চারটি ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক দেশটির পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন ১৯৯০ সালে। এ ছাড়াও, বিএফজেএ পুরস্কার এবং আনন্দলোক পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয়েছিল পরিচালককে। বাংলাদেশের বগুড়ায় ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি জন্মগহণ করেন তরুণ মজুমদার। বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তরুণের পড়াশোনা কলকাতাতেই। সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র তরুণ পরে রসায়ন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তরুণের ফিল্ম জগতে পদার্পণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরই। ১৯৫৯ সালে প্রথম ফিল্ম পরিচালনায় আসেন তিনি। উত্তম কুমার সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবিটি দিয়ে। তখন তার বয়স ২৮ বছর। ত এই সিনেমা পরিচালনায় আসলে ছিল ‘যাত্রিক’ নামে একটি গোষ্ঠী। যার সদস্য ছিলেন শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের এবং তরুণ মজুমদার। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত এই ‘যাত্রিক’-এর সঙ্গেই সিনেমা পরিচালনা করেছেন তরুণ। তার পর আলাদা ভাবে ছবি পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৬২ সালে এই যাত্রিকের পরিচালনাতেই ‘কাচের স্বর্গ’ ছবিটি তৈরি হয়। যা পরে জাতীয় পুরস্কার এনে দেয় পরিচালককে। তরুণ মজুমদারের সর্বশেষ ছবি ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ভালোবাসার বাড়ি’। একই বছর ‘অধিকার’ নামে একটি তথ্যচিত্রও করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া তরুণ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘গণদেবতা’, ‘কাচের স্বর্গ’, ‘যদি জানতেম’, ‘পলাতক’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘শহর থেকে দূরে’, ‘মেঘমুক্তি’, ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘চাঁদের বাড়ি’। তরুণ মজুমদারের ছবিতে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে সন্ধ্যা রায় ও তাপস পালকে। এর মধ্যে সন্ধ্যা করেছেন ২০টি, তাপসকে দেখা গেছে আটটি ছবিতে।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

০৪ জুলাই, ২০২২,  10:39 PM

news image

প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার মারা গেছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন এই চলচ্চিত্র পরিচালক। গত ১৪ জুন তরুণ মজুমদারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয় বলে জানা যায়। পরে সেখানে অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়। কিন্তু সম্প্রতি আবার অবনতি হতে থাকে তার শারীরিক অবস্থার। রোববার তাকে আবারও ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। সেখান থেকে আর তাকে ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকরা। তরুণ মজুমদার ১৯৬২ সালে ‘কাচের স্বর্গ’সিনেমার জন্য ভারতের প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান। মোট চারটি ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক দেশটির পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন ১৯৯০ সালে। এ ছাড়াও, বিএফজেএ পুরস্কার এবং আনন্দলোক পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয়েছিল পরিচালককে। বাংলাদেশের বগুড়ায় ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি জন্মগহণ করেন তরুণ মজুমদার। বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তরুণের পড়াশোনা কলকাতাতেই। সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র তরুণ পরে রসায়ন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তরুণের ফিল্ম জগতে পদার্পণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরই। ১৯৫৯ সালে প্রথম ফিল্ম পরিচালনায় আসেন তিনি। উত্তম কুমার সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবিটি দিয়ে। তখন তার বয়স ২৮ বছর। ত এই সিনেমা পরিচালনায় আসলে ছিল ‘যাত্রিক’ নামে একটি গোষ্ঠী। যার সদস্য ছিলেন শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের এবং তরুণ মজুমদার। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত এই ‘যাত্রিক’-এর সঙ্গেই সিনেমা পরিচালনা করেছেন তরুণ। তার পর আলাদা ভাবে ছবি পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৬২ সালে এই যাত্রিকের পরিচালনাতেই ‘কাচের স্বর্গ’ ছবিটি তৈরি হয়। যা পরে জাতীয় পুরস্কার এনে দেয় পরিচালককে। তরুণ মজুমদারের সর্বশেষ ছবি ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ভালোবাসার বাড়ি’। একই বছর ‘অধিকার’ নামে একটি তথ্যচিত্রও করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া তরুণ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘গণদেবতা’, ‘কাচের স্বর্গ’, ‘যদি জানতেম’, ‘পলাতক’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘শহর থেকে দূরে’, ‘মেঘমুক্তি’, ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘চাঁদের বাড়ি’। তরুণ মজুমদারের ছবিতে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে সন্ধ্যা রায় ও তাপস পালকে। এর মধ্যে সন্ধ্যা করেছেন ২০টি, তাপসকে দেখা গেছে আটটি ছবিতে।