কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট, ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের আওতাধীন তেজগাঁও বিভাগীয় দপ্তর-এর কাওরান বাজার সার্কেলের দু,জন সিপাই- আজিজুল ইসলাম জন্ম- (১২/০২/১৯৯৩ ইং) এবং তাইজুল ইসলামের (জন্ম ২৮/০৫/১৯৮৮ ইং) বিরুদ্ধে কর্মকর্তা পরিচয়ে অত্র সার্কেলের অওতাভুক্ত একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক বা তা প্রতিনিধিকে নানা রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আর তারা একজন কমিশনারের নাম ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ।

জানা যায়, একই কমিশনারেট এর কমিশনার জুয়েল আহমেদ এর নাম ব্যবহার করে এবং তার গ্রীন সিগনালেই নাকি এই দুজন নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন।সূত্রমতে, তারা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের অগোচরে অত্র সার্কেলের অধীনস্ত ব্যবসায়ীদের গোপনে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট/মূসক এর চেয়ে বেশী মূশক এর কথা বলে প্রথমে নানারকম ভয় ভীতি দেখান। পরে মূশক কমিয়ে চালান কাটারও উপায় দেখিয়ে কমিশনার জুয়েল আহমেদ এর নাম ব্যবহার করে, তার কথা বলে গোপন সমযোতা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। এভাবে এদুজন পুরো কারওয়ান বাজারে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে রেখেছেন। কারওয়ান বাজার হার্ডওয়ার মার্কেটের প্রায় ৪ শতাধিক ব্যবসায়ী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গতকাল দুদকসহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। নাম গোপন রাখার শর্তে একজন ব্যবসায়ী বলেন- তাইজুল ইসলাম সিপাই এবং আজিজুল ইসলাম সিপাই এর নিজস্ব ল্যাপটপে ঘুষের টাকার হিসাব থাকে। বিগত দিনে আজিজুল-তাইজুল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঐক্য পরিষদের আন্দোলনে কাফনের কাপড় পড়ে আন্দোলন করেন এবং চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান  সাহেবের পদত্যাগ ও দাবি করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সিপাই আজিজুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের মন্তব্য জানতে তাদের মুঠোফোনে কল করা হলেও তারা রিসিভ না করায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে, বিষয়টি নিয়ে এনবিআর-এর একজন উর্ধতন কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, তাদের বিরুদ্ধে লিখিত কোন অভিযোগ এখনো পাননি।  অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।