শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্স সংকট, দুর্ভোগ চরমে 

#
news image

সিরাজগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সংকটে  চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ১০টি পদের মধ্যে ৯টিই খালি রয়েছে এবং জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ১৩টির মধ্যে ৮টি খালি আছে।

এ ছাড়া, গাইনি বিভাগে সিনিয়র-জুনিয়র কনসারট্যান্টের ২টি পদই খালি রয়েছে।  এ ছাড়া নার্সসহ অন্য স্টাফের ৪১১টি পদের মধ্যে ১১০টি পদই খালি রয়েছে। এসব পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  রোগীরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে বার বার অভিযোগ করেও সুফল পাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জ সরকারি ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে এ পরিস্থিতি দেখা যায়। নতুন করে করোনার প্রকোপ দেখা দিলেও  চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও স্টাফ না থাকায়  হাসপাতালের কার্যক্রম ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা মালশাপাড়া গ্রামের শহিদুল হাসিনুর, রানীগ্রামের বেলী, মিরপুরের  আমেলা বেগম জানান, অনেক সময় ধরে ডাক্তার দেখানোর জন্য এসেছি। কিন্তু ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে দেরি হয়।

এদিকে, কামারখন্দের শ্যামপুর গ্রামের দিনমজুর সোলেমান (৬০) জানান, হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হলেও অনেক সময় কোনো কোনো  ওষুধ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন।’ 

এবিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীর পদ খালির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এতে চিকিৎসা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই চিকিৎসক ও স্টাফ নিয়োগ দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক ও স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হলে এ সংকট থাকবে না।’

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ

০৪ জুলাই, ২০২২,  11:49 PM

news image

সিরাজগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সংকটে  চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ১০টি পদের মধ্যে ৯টিই খালি রয়েছে এবং জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদে ১৩টির মধ্যে ৮টি খালি আছে।

এ ছাড়া, গাইনি বিভাগে সিনিয়র-জুনিয়র কনসারট্যান্টের ২টি পদই খালি রয়েছে।  এ ছাড়া নার্সসহ অন্য স্টাফের ৪১১টি পদের মধ্যে ১১০টি পদই খালি রয়েছে। এসব পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  রোগীরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে বার বার অভিযোগ করেও সুফল পাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জ সরকারি ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে এ পরিস্থিতি দেখা যায়। নতুন করে করোনার প্রকোপ দেখা দিলেও  চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও স্টাফ না থাকায়  হাসপাতালের কার্যক্রম ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা মালশাপাড়া গ্রামের শহিদুল হাসিনুর, রানীগ্রামের বেলী, মিরপুরের  আমেলা বেগম জানান, অনেক সময় ধরে ডাক্তার দেখানোর জন্য এসেছি। কিন্তু ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে দেরি হয়।

এদিকে, কামারখন্দের শ্যামপুর গ্রামের দিনমজুর সোলেমান (৬০) জানান, হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হলেও অনেক সময় কোনো কোনো  ওষুধ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন।’ 

এবিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীর পদ খালির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এতে চিকিৎসা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই চিকিৎসক ও স্টাফ নিয়োগ দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক ও স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হলে এ সংকট থাকবে না।’