শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

গ্রহাণুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

#
news image

প্রযুক্তি বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা এখন নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের রঙিন ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই টেলিস্কোপ।
তবে গত মে মাসে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ গ্রহাণুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  
 ১৯৯৬ সালে প্রথম জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বানানোর পরিকল্পনা করা হয়। ১৭টি দেশ মিলে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যার নেতৃত্বে রয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। পাশাপাশি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সিরও এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। যন্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে জেমস ই. ওয়েবের নামানুসারে। তিনি ছিলেন নাসার দ্বিতীয় প্রশাসক এবং অ্যাপোলো অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ।  গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি মহাশূন্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।  ২০২১ সালে যখন এই টেলিস্কোপ মহাকাশে পাড়ি দেয়, তখন খরচ দাঁড়ায় ১০০০ কোটি ডলার। টেলিস্কোপের মূল লক্ষ্য দুটি। এক, প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বে জ্বলে ওঠা আদি নক্ষত্রগুলোর ছবি তোলা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে দূরদূরান্তের গ্রহগুলো প্রাণ ধারণের উপযোগী কি না, তা খতিয়ে দেখা। তবে গ্রহাণুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এই প্রজেক্ট দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।  
টেলিস্কোপটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ছয়টি মাইক্রোমেটেওরাইটের মধ্যে পাঁচটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের বড় আয়নায় আঘাত হানে। তবে এতে টেলিস্কোপের বড় ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।  
গবেষকরা বলেছেন, ২২ থেকে ২৪ মের মধ্যে মাইক্রোমেটিওরয়েড সেগমেন্ট সি৩-তে আঘাত করেছিল গ্রহাণুটি। এতে ওই অংশের সামগ্রিক চিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটায় যা সংশোধন করা সম্ভব না। তবে এটি টেলিস্কোপটির ছোট অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। একটি প্যানেলের ক্ষতি হওয়ায় এটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ছবি তোলার ক্ষমতাকে মোটেও প্রভাবিত করবে না।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২০ জুলাই, ২০২২,  12:17 AM

news image

প্রযুক্তি বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা এখন নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের রঙিন ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই টেলিস্কোপ।
তবে গত মে মাসে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ গ্রহাণুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  
 ১৯৯৬ সালে প্রথম জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বানানোর পরিকল্পনা করা হয়। ১৭টি দেশ মিলে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যার নেতৃত্বে রয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। পাশাপাশি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সিরও এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। যন্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে জেমস ই. ওয়েবের নামানুসারে। তিনি ছিলেন নাসার দ্বিতীয় প্রশাসক এবং অ্যাপোলো অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ।  গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি মহাশূন্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।  ২০২১ সালে যখন এই টেলিস্কোপ মহাকাশে পাড়ি দেয়, তখন খরচ দাঁড়ায় ১০০০ কোটি ডলার। টেলিস্কোপের মূল লক্ষ্য দুটি। এক, প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বে জ্বলে ওঠা আদি নক্ষত্রগুলোর ছবি তোলা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে দূরদূরান্তের গ্রহগুলো প্রাণ ধারণের উপযোগী কি না, তা খতিয়ে দেখা। তবে গ্রহাণুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এই প্রজেক্ট দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।  
টেলিস্কোপটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ছয়টি মাইক্রোমেটেওরাইটের মধ্যে পাঁচটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের বড় আয়নায় আঘাত হানে। তবে এতে টেলিস্কোপের বড় ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।  
গবেষকরা বলেছেন, ২২ থেকে ২৪ মের মধ্যে মাইক্রোমেটিওরয়েড সেগমেন্ট সি৩-তে আঘাত করেছিল গ্রহাণুটি। এতে ওই অংশের সামগ্রিক চিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটায় যা সংশোধন করা সম্ভব না। তবে এটি টেলিস্কোপটির ছোট অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। একটি প্যানেলের ক্ষতি হওয়ায় এটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ছবি তোলার ক্ষমতাকে মোটেও প্রভাবিত করবে না।