শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

 ভয়াবহ ব্যাটিংয়ে বিশাল ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ

#
news image

আরও একবার দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজের সামনে মুখ থুবড়ে পড়লো বাংলাদেশ দল। দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করে দ্বিতীয় টেস্টেও হারলো ৩৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে। গেবেখা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৩ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ৮০ রানে।

রোববার শেষ বিকেলে মাত্র ২৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে আজ (সোমবার) ম্যাচের চতুর্থ দিন মাত্র ৫৮ মিনিট ও ১৪.২ ওভারে বাকি ৭ উইকেট হারিয়েছে মুমিনুল হকের দল। প্রথম টেস্টে ২২০ রানের পর এই ম্যাচে ৩৩২ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

ডারবানের কিংসমিডে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ৫৩ রানে অলআউট করে দিয়েছিলেন কেশভ মহারাজ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন গেবেগার সেইন্ট জর্জেস পার্কে দ্বিতীয় টেস্টে। এবারও ৭ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ, মাত্র ৪০ রান খরচায়।

দ্বিতীয় ম্যাচটি জিততে সময় কিংবা ওভারের কমতি ছিল না বাংলাদেশের জন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ২০০ ওভারে করতে হতো ৪১৩ রান। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে সবমিলিয়ে মাত্র ২৩.৩ ওভারেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। দলের পক্ষে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র তিনজন ব্যাটার।

আগেরদিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান করার পর আজ গুরুদায়িত্ব ছিল মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হকের ওপর। কিন্তু মহারাজের করা দিনের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন দলের অভিজ্ঞতম ব্যাটার মুশফিক। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান।

দ্বিতীয় ওভারে মুশফিককে দিয়ে শুরু, এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মুমিনুল এবং ইয়াসির আলি রাব্বিও। মহারাজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৫ রান করেন মুমিনুল। অন্যদিকে ইয়াসির রাব্বি শূন্য রানে আউট হন সাইমন হার্মারের প্রথম শিকারে পরিণত হয়ে।

এরপর সপ্তম উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৫ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৭ রান করা লিটনকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে নিজের ফাইফার পূরণ করেন মহারাজ। এরপর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে তার ষষ্ঠ শিকারে পরিণত হন ২০ রান করা মিরাজ।

স্বীকৃত সব ব্যাটারদের উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের জন্য আর বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি প্রোটিয়াদের। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই শেষ ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মহারাজ ৪০ রানে ৭ ও হার্মার নেন ৩৪ রানে ৩টি উইকেট। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এ দুজন মিলেই বাংলাদেশের সবকয়টি উইকেট নিলেন।

ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সফরটি শুরু করলেও, শেষটা প্রত্যাশামাফিক হলো না বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের অন্তত ছয়জন নিয়মিত খেলোয়াড় না থাকায় টেস্ট জয়ের বড় সুযোগ থাকলেও, দুই ম্যাচেই মিললো বড় ব্যবধানে পরাজয়।

প্রখ/ সাদ্দাম

প্রভাতী স্পোর্টস ডেস্ক

১১ এপ্রিল, ২০২২,  7:51 AM

news image

আরও একবার দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজের সামনে মুখ থুবড়ে পড়লো বাংলাদেশ দল। দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করে দ্বিতীয় টেস্টেও হারলো ৩৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে। গেবেখা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৩ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ৮০ রানে।

রোববার শেষ বিকেলে মাত্র ২৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে আজ (সোমবার) ম্যাচের চতুর্থ দিন মাত্র ৫৮ মিনিট ও ১৪.২ ওভারে বাকি ৭ উইকেট হারিয়েছে মুমিনুল হকের দল। প্রথম টেস্টে ২২০ রানের পর এই ম্যাচে ৩৩২ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

ডারবানের কিংসমিডে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ৫৩ রানে অলআউট করে দিয়েছিলেন কেশভ মহারাজ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন গেবেগার সেইন্ট জর্জেস পার্কে দ্বিতীয় টেস্টে। এবারও ৭ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ, মাত্র ৪০ রান খরচায়।

দ্বিতীয় ম্যাচটি জিততে সময় কিংবা ওভারের কমতি ছিল না বাংলাদেশের জন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ২০০ ওভারে করতে হতো ৪১৩ রান। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে সবমিলিয়ে মাত্র ২৩.৩ ওভারেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। দলের পক্ষে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র তিনজন ব্যাটার।

আগেরদিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান করার পর আজ গুরুদায়িত্ব ছিল মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হকের ওপর। কিন্তু মহারাজের করা দিনের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন দলের অভিজ্ঞতম ব্যাটার মুশফিক। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান।

দ্বিতীয় ওভারে মুশফিককে দিয়ে শুরু, এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মুমিনুল এবং ইয়াসির আলি রাব্বিও। মহারাজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৫ রান করেন মুমিনুল। অন্যদিকে ইয়াসির রাব্বি শূন্য রানে আউট হন সাইমন হার্মারের প্রথম শিকারে পরিণত হয়ে।

এরপর সপ্তম উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৫ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৭ রান করা লিটনকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে নিজের ফাইফার পূরণ করেন মহারাজ। এরপর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে তার ষষ্ঠ শিকারে পরিণত হন ২০ রান করা মিরাজ।

স্বীকৃত সব ব্যাটারদের উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের জন্য আর বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি প্রোটিয়াদের। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই শেষ ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মহারাজ ৪০ রানে ৭ ও হার্মার নেন ৩৪ রানে ৩টি উইকেট। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এ দুজন মিলেই বাংলাদেশের সবকয়টি উইকেট নিলেন।

ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সফরটি শুরু করলেও, শেষটা প্রত্যাশামাফিক হলো না বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের অন্তত ছয়জন নিয়মিত খেলোয়াড় না থাকায় টেস্ট জয়ের বড় সুযোগ থাকলেও, দুই ম্যাচেই মিললো বড় ব্যবধানে পরাজয়।

প্রখ/ সাদ্দাম