শিরোনামঃ
কাস্টমসের দুই সিপাইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ, দুদকে আবেদন রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট মায়ের হাতে ৬ মাসের কন্যা শিশু খুন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা হরিলুট ঢাকার সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেপ্তার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ চট্টগ্রামে চেক প্রতারণার অভিযোগে সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর পরিবেশক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

পাসপোর্ট অফিসে চেয়ারে বসায় সেবাগ্রহীতাকে মারধর

#
news image

কুমিল্লার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার চেয়ারে বসায় সেবা নিতে আসা তিন যুবককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদার বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে দুই সংবাদকর্মীও ওই কর্মকর্তার হাতে লাঞ্চিত হন এবং তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।

জানা যায়, ওই তিন সেবা গ্রহীতার একজন মো. সাকিব। তার বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। সোমবার সকালে তিনি তার পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে এসে কার্যালয়ের নিচতলায় অপেক্ষা করছিলেন। রোজা রেখে চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ক্লান্ত হয়ে পড়লে পাশে থাকা একটি চেয়ারে বসে পড়েন। তার সঙ্গে থাকা আরও ৩/৪ জন সেবাগ্রহীতা বসেন। এটি মূলত একজন কর্মকর্তার টেবিলের পাশের চেয়ার ছিল। এ সময় পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদা নিচে নেমে এসে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে তাদের পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে চেয়ার ভেঙে গেলে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন।
সাকিব দাবি করেন, ‘ডিডি সাহেব চেয়ারে বসার অপরাধে আমাদের পিটিয়েছেন। আমার সঙ্গে থাকা আরও দুজন ভয়ে অফিস থেকে চলে গেছে।’

ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম রানা ও মো. সাফির সঙ্গেও অসদাচরণ ও লাঞ্চিত করেন এবং তাদের মোবাইল ফোন কেঁড়ে নেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমান ও পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছান। 

ওসি বলেন, ‘শুনেছি উপ-পরিচালকের সঙ্গে সেবাগ্রহীতাদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। আর বেশি কিছু জানি না।’  

ঘটনার তিন ঘণ্টা পর ওসি সহিদুর রহমান এবং থানার তদন্ত কর্মকর্তা কমল দের উপস্থিতিতে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন সাংবাদিকদের ফেরত দেওয়া হয়। 

সাংবাদিক রকিবুল দাবি করেন, ‘আমার পাসপোর্টের বিষয়ে সেখানে যাই। ওই সময় দেখি পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আমার কিছুটা সামনে ৩/৪ সেবাগ্রহীতাকে চেয়ার দিয়ে পেটাচ্ছেন। জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ভুল করে অফিসের কর্মকর্তাদের চেয়ারে বসেছিলেন। এ জন্য তাদেরকে পেটানো হয়। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।’

এই বিষয়ে অভিযুক্ত উপ-পরিচালক নুরুল হুদা দাবি করেন, তিনি কাউকে মারধর করেননি। ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছে বক্তব্য দিতে বাধ্য নই।’

 

প্র.খ/বিপ্লব

প্রভাতী খবর ডেস্ক:

১৮ এপ্রিল, ২০২২,  7:34 AM

news image
অভিযুক্ত কর্মকর্তা নূরুল হুদা। ছবি: প্রভাতী খবর

কুমিল্লার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার চেয়ারে বসায় সেবা নিতে আসা তিন যুবককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদার বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে দুই সংবাদকর্মীও ওই কর্মকর্তার হাতে লাঞ্চিত হন এবং তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।

জানা যায়, ওই তিন সেবা গ্রহীতার একজন মো. সাকিব। তার বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। সোমবার সকালে তিনি তার পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে এসে কার্যালয়ের নিচতলায় অপেক্ষা করছিলেন। রোজা রেখে চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ক্লান্ত হয়ে পড়লে পাশে থাকা একটি চেয়ারে বসে পড়েন। তার সঙ্গে থাকা আরও ৩/৪ জন সেবাগ্রহীতা বসেন। এটি মূলত একজন কর্মকর্তার টেবিলের পাশের চেয়ার ছিল। এ সময় পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদা নিচে নেমে এসে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে তাদের পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে চেয়ার ভেঙে গেলে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন।
সাকিব দাবি করেন, ‘ডিডি সাহেব চেয়ারে বসার অপরাধে আমাদের পিটিয়েছেন। আমার সঙ্গে থাকা আরও দুজন ভয়ে অফিস থেকে চলে গেছে।’

ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম রানা ও মো. সাফির সঙ্গেও অসদাচরণ ও লাঞ্চিত করেন এবং তাদের মোবাইল ফোন কেঁড়ে নেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমান ও পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছান। 

ওসি বলেন, ‘শুনেছি উপ-পরিচালকের সঙ্গে সেবাগ্রহীতাদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। আর বেশি কিছু জানি না।’  

ঘটনার তিন ঘণ্টা পর ওসি সহিদুর রহমান এবং থানার তদন্ত কর্মকর্তা কমল দের উপস্থিতিতে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন সাংবাদিকদের ফেরত দেওয়া হয়। 

সাংবাদিক রকিবুল দাবি করেন, ‘আমার পাসপোর্টের বিষয়ে সেখানে যাই। ওই সময় দেখি পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আমার কিছুটা সামনে ৩/৪ সেবাগ্রহীতাকে চেয়ার দিয়ে পেটাচ্ছেন। জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ভুল করে অফিসের কর্মকর্তাদের চেয়ারে বসেছিলেন। এ জন্য তাদেরকে পেটানো হয়। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।’

এই বিষয়ে অভিযুক্ত উপ-পরিচালক নুরুল হুদা দাবি করেন, তিনি কাউকে মারধর করেননি। ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছে বক্তব্য দিতে বাধ্য নই।’

 

প্র.খ/বিপ্লব