শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

স্টার্ক-জাম্পার নৈপুন্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া

#
news image

মিচেল স্টার্কের অলরাউন্ড নৈপুন্য ও স্পিনার এডাম জাম্পার ভেল্কিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া।
আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া ১১৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। প্রথম ওয়ানডে ২ উইকেটে জিতেছিলো অসিরা। এই জয়ে  সিরিজ নিশ্চিতের সাথে ২-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেল অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচের হারে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়লো নিউজিল্যান্ডের। ১৯৮৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার  মাটিতে ওয়ানডেতে কোন দ্বিপাক্ষীক সিরিজ জিততে পারেনি পারেনি কিউইরা।
ম্যাচে ব্যাট হাতে লোয়ার-অর্ডারে দলের বিপর্যয়ের সময় ৪৫ বলে অপরাজিত ৩৮ রান ও বল হাতে ১২ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন স্টার্ক। আর নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ধসিয়ে দিতে ৫ উইকেট নেন জাম্পা।
সিরিজের সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে কেয়ানর্সে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে নিউজিল্যান্ড। স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ হবার আগেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে খালি হাতে ফেরান নিউজিল্যান্ড পেসার ম্যাট হেনরি।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট শিকারের আনন্দে মাতেন হেনরি। এবার হেনরির শিকার ৫ রান করা ডেভিড ওয়ার্নার।
হেনরির ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগেই নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৪ রানের ব্যবধানে মার্নাস লাবুশেন ও মার্কাস স্টয়নিসকে শিকার করেন বোল্ট। ফলে নবম ওভারে ২৬ রানে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। লাবুশেন ৫ ও স্টয়নিস শূন্য হাতে ফিরেন।
এরপর উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি-গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন তিন নম্বরে নামা স্টিভেন স্মিথ। পঞ্চম উইকেটে ক্যারির সাথে ৬০ বলে ২৮ রান তুলেন স্মিথ। আর ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাক্সওয়েলের সাথে ৮৬ বলে ৪৯ রান তুলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১শ পার করেন স্মিথ। তবে ১০৩ রানের মধ্যে বিদায় নেন ক্যারি ও ম্যাক্সি। ক্যারি ১২ ও ম্যাক্সি ৫০ বলে ২৫ রান করেন।
ক্যারি-ম্যাক্সওয়েলের পর সিন অ্যাবট ৭ রানে থামলেও, এক প্রান্ত আগলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন স্মিথ। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। দলীয় ১১৭ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়া স্মিথ  ৯৪ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬১ রান করেন।
দলীয় ১৪৮ রানে নবম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ১৬ রান করে আউট হন এডাম জাম্পাা। তার আউটে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার ছিলো অসিদের। কিন্তু শেষ উইকেটে ৩৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়াকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট ১৯৫ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া। ৪৫ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন স্টার্ক। ১৬ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন হ্যাজেলউড। নিউজিল্যান্ডের বোল্ট ৩৮ রানে ৪টি এবং হেনরি ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নেন।
১৯৬ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ৩৮ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান টপ-অর্ডারের পাঁচ ব্যাটার। এরমধ্যে ২ উইকেট ছিলো স্পিনার জাম্পার।
টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার পর, পরের দিকের ব্যাটাররাও সুবিধা করতে পারেননি। জাম্পার স্পিন সামলাতে না পেরে, ৩৩ ওভারের মধ্যে ৮২ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে  অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটিই  দ্বিতীয় সর্বনি¤œ রান কিউইদের।
লোয়ার-অর্ডারে নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেট নেন জাম্পা। ফলে ইনিংসে ৯ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ৭২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন জাম্পা। এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এছাড়াও স্টার্ক-অ্যাবট ২টি করে উইকেট নেন।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে মাত্র চার ব্যাটার দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন মিচেল স্যান্টনার। এছাড়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১২ ও ড্যারিল মিচেল ১০ রান করেন।  
সিরিজটি বিশ^কাপ সুপার লিগের অংশ হওয়াতে এই জয়ে নিউজিল্যান্ডের সমান পয়েন্ট হলো অস্ট্রেলিয়ার। ১৭ ম্যাচে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে ্েটবিলের পঞ্চমস্থানে উঠে এলো অসিরা। আর ১৪ ম্যাচে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানেই থাকলো নিউজিল্যান্ড।
১৮ ম্যাচে ১২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে বাংলাদেশ।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আবারও মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  10:24 PM

news image

মিচেল স্টার্কের অলরাউন্ড নৈপুন্য ও স্পিনার এডাম জাম্পার ভেল্কিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া।
আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া ১১৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। প্রথম ওয়ানডে ২ উইকেটে জিতেছিলো অসিরা। এই জয়ে  সিরিজ নিশ্চিতের সাথে ২-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেল অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচের হারে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়লো নিউজিল্যান্ডের। ১৯৮৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার  মাটিতে ওয়ানডেতে কোন দ্বিপাক্ষীক সিরিজ জিততে পারেনি পারেনি কিউইরা।
ম্যাচে ব্যাট হাতে লোয়ার-অর্ডারে দলের বিপর্যয়ের সময় ৪৫ বলে অপরাজিত ৩৮ রান ও বল হাতে ১২ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন স্টার্ক। আর নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ধসিয়ে দিতে ৫ উইকেট নেন জাম্পা।
সিরিজের সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে কেয়ানর্সে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে নিউজিল্যান্ড। স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ হবার আগেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে খালি হাতে ফেরান নিউজিল্যান্ড পেসার ম্যাট হেনরি।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট শিকারের আনন্দে মাতেন হেনরি। এবার হেনরির শিকার ৫ রান করা ডেভিড ওয়ার্নার।
হেনরির ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগেই নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৪ রানের ব্যবধানে মার্নাস লাবুশেন ও মার্কাস স্টয়নিসকে শিকার করেন বোল্ট। ফলে নবম ওভারে ২৬ রানে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। লাবুশেন ৫ ও স্টয়নিস শূন্য হাতে ফিরেন।
এরপর উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি-গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন তিন নম্বরে নামা স্টিভেন স্মিথ। পঞ্চম উইকেটে ক্যারির সাথে ৬০ বলে ২৮ রান তুলেন স্মিথ। আর ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাক্সওয়েলের সাথে ৮৬ বলে ৪৯ রান তুলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১শ পার করেন স্মিথ। তবে ১০৩ রানের মধ্যে বিদায় নেন ক্যারি ও ম্যাক্সি। ক্যারি ১২ ও ম্যাক্সি ৫০ বলে ২৫ রান করেন।
ক্যারি-ম্যাক্সওয়েলের পর সিন অ্যাবট ৭ রানে থামলেও, এক প্রান্ত আগলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন স্মিথ। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। দলীয় ১১৭ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়া স্মিথ  ৯৪ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬১ রান করেন।
দলীয় ১৪৮ রানে নবম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ১৬ রান করে আউট হন এডাম জাম্পাা। তার আউটে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার ছিলো অসিদের। কিন্তু শেষ উইকেটে ৩৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়াকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট ১৯৫ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া। ৪৫ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন স্টার্ক। ১৬ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন হ্যাজেলউড। নিউজিল্যান্ডের বোল্ট ৩৮ রানে ৪টি এবং হেনরি ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নেন।
১৯৬ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ৩৮ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান টপ-অর্ডারের পাঁচ ব্যাটার। এরমধ্যে ২ উইকেট ছিলো স্পিনার জাম্পার।
টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার পর, পরের দিকের ব্যাটাররাও সুবিধা করতে পারেননি। জাম্পার স্পিন সামলাতে না পেরে, ৩৩ ওভারের মধ্যে ৮২ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে  অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটিই  দ্বিতীয় সর্বনি¤œ রান কিউইদের।
লোয়ার-অর্ডারে নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেট নেন জাম্পা। ফলে ইনিংসে ৯ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ৭২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন জাম্পা। এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এছাড়াও স্টার্ক-অ্যাবট ২টি করে উইকেট নেন।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে মাত্র চার ব্যাটার দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন মিচেল স্যান্টনার। এছাড়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১২ ও ড্যারিল মিচেল ১০ রান করেন।  
সিরিজটি বিশ^কাপ সুপার লিগের অংশ হওয়াতে এই জয়ে নিউজিল্যান্ডের সমান পয়েন্ট হলো অস্ট্রেলিয়ার। ১৭ ম্যাচে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে ্েটবিলের পঞ্চমস্থানে উঠে এলো অসিরা। আর ১৪ ম্যাচে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানেই থাকলো নিউজিল্যান্ড।
১৮ ম্যাচে ১২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে বাংলাদেশ।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আবারও মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।