২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ই-কমার্স বাজারের পরিধি দ্বিগুণ হবে
অনলাইন ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 10:39 PM
২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ই-কমার্স বাজারের পরিধি দ্বিগুণ হবে
সাম্প্রতিক এক বাজার গবেষণা অনুযায়ী, ২০২২ সালে গ্রাহকের কাছে সরাসরি পণ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়া ই-কমার্স খাত বার্ষিক ৬৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার বাজারে পরিণত হবে, যা ১৭.৬১% বেশি।
২০২১ সালে ই-কমার্স বাজার ছিল প্রায় ৫৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকার খাত। ডাবলিনভিত্তিক বাণিজ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস ডট কমের ভাষ্যমতে, আগামী চার বছরে অর্থাৎ ২০২৬ সালের মধ্যে সেটি প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার খাতে পরিণত হবে।
রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস ডট কম জানায়, বাংলাদেশ বিটুসি ইকমার্স মার্কেট রিপোর্ট ২০২২-শীর্ষক প্রতিবেদনে নিবন্ধিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনিবন্ধিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক ট্রেডিং পেজগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ই-কমার্সে অন্তর্ভুক্ত পণ্য ও পরিষেবাগুলোর মধ্যে খুচরা কেনাকাটা, ভ্রমণ ও আতিথেয়তা, অনলাইন ফুড সার্ভিস, বিনোদন ও গণমাধ্যম, স্বাস্থ্যসেবা, বিভিন্ন গ্যাজেট ও কারিগরি পরিষেবা ইত্যাদি রয়েছে।
গত বছর ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে আড়াই হাজারেরও বেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বড় ব্যবসা ১%, মাঝারি ব্যবসা ৪% এবং বাকি ৯৫% বিভিন্ন ছোট ব্যবসায়ী উদ্যোগ। ই-ক্যাবের সদস্য ছিলেন প্রায় এক হাজার ৬০০ ই-কমার্স উদ্যোক্তা।
২০১৮ সালের শেষদিকে বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। বিভিন্ন লোভনীয় অফার ও বিশাল ডিসকাউন্ট দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ই-কমার্সের বাজারে জনপ্রিয়তা লাভ করে। যদিও পরবর্তীতে জালিয়াতি এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
এছাড়া, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, কিউকম, দালাল প্লাস, ধামাকা শপিং এবং সিরাজগঞ্জ শপসহ আরও বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে অভিযুক্ত ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে।
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোর ২০১৮ সালে ডিজিটাল কমার্স পলিসি প্রকাশ করে সরকার। গ্রাহক অধিকার নিশ্চিতের সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণামূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে গত বছরের জুনে পেমেন্ট গেটওয়ে এসক্রো সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে খুচরা ও পাইকারি পণ্য বিক্রি বা সরবরাহকারী প্রায় ৫০ হাজার ফেসবুক পেজ রয়েছে। ফেসবুকভিত্তিক এই উদ্যোগগুলোর বার্ষিক কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা ওই কর্মকর্তার।
অনলাইন ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 10:39 PM
সাম্প্রতিক এক বাজার গবেষণা অনুযায়ী, ২০২২ সালে গ্রাহকের কাছে সরাসরি পণ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়া ই-কমার্স খাত বার্ষিক ৬৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার বাজারে পরিণত হবে, যা ১৭.৬১% বেশি।
২০২১ সালে ই-কমার্স বাজার ছিল প্রায় ৫৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকার খাত। ডাবলিনভিত্তিক বাণিজ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস ডট কমের ভাষ্যমতে, আগামী চার বছরে অর্থাৎ ২০২৬ সালের মধ্যে সেটি প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার খাতে পরিণত হবে।
রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস ডট কম জানায়, বাংলাদেশ বিটুসি ইকমার্স মার্কেট রিপোর্ট ২০২২-শীর্ষক প্রতিবেদনে নিবন্ধিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনিবন্ধিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক ট্রেডিং পেজগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ই-কমার্সে অন্তর্ভুক্ত পণ্য ও পরিষেবাগুলোর মধ্যে খুচরা কেনাকাটা, ভ্রমণ ও আতিথেয়তা, অনলাইন ফুড সার্ভিস, বিনোদন ও গণমাধ্যম, স্বাস্থ্যসেবা, বিভিন্ন গ্যাজেট ও কারিগরি পরিষেবা ইত্যাদি রয়েছে।
গত বছর ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে আড়াই হাজারেরও বেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বড় ব্যবসা ১%, মাঝারি ব্যবসা ৪% এবং বাকি ৯৫% বিভিন্ন ছোট ব্যবসায়ী উদ্যোগ। ই-ক্যাবের সদস্য ছিলেন প্রায় এক হাজার ৬০০ ই-কমার্স উদ্যোক্তা।
২০১৮ সালের শেষদিকে বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। বিভিন্ন লোভনীয় অফার ও বিশাল ডিসকাউন্ট দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ই-কমার্সের বাজারে জনপ্রিয়তা লাভ করে। যদিও পরবর্তীতে জালিয়াতি এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
এছাড়া, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, কিউকম, দালাল প্লাস, ধামাকা শপিং এবং সিরাজগঞ্জ শপসহ আরও বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে অভিযুক্ত ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে।
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোর ২০১৮ সালে ডিজিটাল কমার্স পলিসি প্রকাশ করে সরকার। গ্রাহক অধিকার নিশ্চিতের সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণামূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে গত বছরের জুনে পেমেন্ট গেটওয়ে এসক্রো সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে খুচরা ও পাইকারি পণ্য বিক্রি বা সরবরাহকারী প্রায় ৫০ হাজার ফেসবুক পেজ রয়েছে। ফেসবুকভিত্তিক এই উদ্যোগগুলোর বার্ষিক কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা ওই কর্মকর্তার।