শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলছে সরকার: ফখরুল

#
news image

তথাকথিত উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করে সরকার মানুষকে দুর্ভোগে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সরকার এত চিৎকার-চেঁচামেচি করছে। সবসময় বলছে, তারা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন বেশি। অথচ গতকালের ব্যাপারটা (বিদ্যুৎ বিপর্যয়) হচ্ছে অস্বাভাবিক। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেছে প্রায় সারাদেশে। আট ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে বহু প্রজেক্ট করেছে, টাকা পয়সা বানিয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের বড় দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে জাতিকে তারা ফেলে দিয়েছে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বহু সমস্যা হয়ে গেছে। নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেছে, কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে অসহনীয় পরিস্থিতি জাতিকে পার করতে হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাস্তার যে বিভ্রাট ঢাকা শহরে। টঙ্গী থেকে উত্তরা পর্যন্ত আসতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সব ক্ষেত্রে দেখবেন উন্নয়নের কারণে সমস্যা-ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।

২৯ প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এটা ভয়াবহ ব্যাপার। আমরা যে বলে আসছি, কর্তৃত্ববাদী সরকার, এটা তার বহিঃপ্রকাশ। সরকার যে আরও নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে, দেশকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবে, মানুষকে তথ্য থেকে বঞ্চিত করবে, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। এখন আর কোনো ফাঁক রইলো না। এ কথা বলতে যে, স্বয়ং রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে যদি এমন সার্কুলার আসে, তাহলে এ দেশ যে পুরো কর্তৃত্ববাদী হয়ে গেছে, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার প্রোপার প্ল্যানিংয়ের (সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা) মাধ্যমে কিছুই করেনি। সেদিকে তারা মনোযোগীও হয়নি। দুর্নীতির জন্য যা যা করা দরকার, তাড়াহুড়ো করে করেছে। এজন্য একটি পলিটিক্যাল প্রাইস (রাজনৈতিক মূল্য) জনগণকে পরিশোধ করতে হচ্ছে।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন প্রজেক্ট নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতি। এ কারণে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়নি। সরকার অপরিকল্পিতভাবে পাওয়ার স্টেশন করেছে। গতকালের মত বিপর্যয় আরও হবে। সরকার যে ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে, তার জন্য জনগণকে এ ধরনের আরও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে।

অনলাইন ডেস্ক

০৫ অক্টোবর, ২০২২,  11:07 PM

news image

তথাকথিত উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করে সরকার মানুষকে দুর্ভোগে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সরকার এত চিৎকার-চেঁচামেচি করছে। সবসময় বলছে, তারা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন বেশি। অথচ গতকালের ব্যাপারটা (বিদ্যুৎ বিপর্যয়) হচ্ছে অস্বাভাবিক। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেছে প্রায় সারাদেশে। আট ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে বহু প্রজেক্ট করেছে, টাকা পয়সা বানিয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের বড় দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে জাতিকে তারা ফেলে দিয়েছে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বহু সমস্যা হয়ে গেছে। নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেছে, কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে অসহনীয় পরিস্থিতি জাতিকে পার করতে হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাস্তার যে বিভ্রাট ঢাকা শহরে। টঙ্গী থেকে উত্তরা পর্যন্ত আসতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সব ক্ষেত্রে দেখবেন উন্নয়নের কারণে সমস্যা-ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।

২৯ প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এটা ভয়াবহ ব্যাপার। আমরা যে বলে আসছি, কর্তৃত্ববাদী সরকার, এটা তার বহিঃপ্রকাশ। সরকার যে আরও নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে, দেশকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবে, মানুষকে তথ্য থেকে বঞ্চিত করবে, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। এখন আর কোনো ফাঁক রইলো না। এ কথা বলতে যে, স্বয়ং রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে যদি এমন সার্কুলার আসে, তাহলে এ দেশ যে পুরো কর্তৃত্ববাদী হয়ে গেছে, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার প্রোপার প্ল্যানিংয়ের (সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা) মাধ্যমে কিছুই করেনি। সেদিকে তারা মনোযোগীও হয়নি। দুর্নীতির জন্য যা যা করা দরকার, তাড়াহুড়ো করে করেছে। এজন্য একটি পলিটিক্যাল প্রাইস (রাজনৈতিক মূল্য) জনগণকে পরিশোধ করতে হচ্ছে।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন প্রজেক্ট নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতি। এ কারণে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়নি। সরকার অপরিকল্পিতভাবে পাওয়ার স্টেশন করেছে। গতকালের মত বিপর্যয় আরও হবে। সরকার যে ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে, তার জন্য জনগণকে এ ধরনের আরও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে।