শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

হঠাৎ টালমাটাল চিনির বাজার

#
news image

চাল-আটাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের চিনির বাজার। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকার দাম ঠিক করে দেওয়ার পরও তিন থেকে চার দিনের ভেতরে চিনির দাম ফের কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে বিশেষ অভিযানে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, তিন থেকে চার দিন আগে চিনি কেজিপ্রতি ৯৫ টাকা দামে বিক্রি করেছি। সেটা এখন ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বস্তা প্রতি চিনির দাম এক হাজার ৫০ টাকা বেড়েছে। মিরপুরের শেওড়াপাড়ার খুচরা  চিনি বিক্রেতা মো. শহিদুল ইসলাম প্রভাতী খবরকে বলেন, তিনদিন আগেও ৫০ কেজির চিনির বস্তা কিনেছি ৪২৫০ টাকায়, সেটা আজ ৫৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অর্থাৎ বস্তাপ্রতি ১০৫০ টাকা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, ১০৬ টাকা করে কিনে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অস্বাভাবিক বাজারে পণ্য কিনতেও ভয় লাগে। বাজার দাম কমে গেলে লসে বিক্রি করতে হবে। তবে এর আগে কখনো চিনির দাম ১০০ টাকার বেশি ওঠেনি।

এদিকে চলতি মাসের শুরুতে খুচরা বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হয় ৮৪ টাকা করে। স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে সরকার গত ৬ অক্টোবর কেজিতে দাম ছয় টাকা বাড়িয়ে দেয়। এতে খোলা চিনির দাম হয় ৯০ টাকা। যা বর্তমানে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়িয়ে নির্দিষ্ট করার পরও কেজিপ্রতি চিনির মূল্য ২০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা অলিউর রহমান প্রভাতী খবরকে বলেন, এক সপ্তাহ না যেতেই চিনির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে যাওয়াটা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। সরকার দু’সপ্তাহ আগেই ৬ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার পর মনে করেছিলাম চিনির দাম আর বাড়বে না। অথচ আজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। সরকারের নজরদারির অভাবে এমনটি হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাজার নিয়ে সরকারের কোনো মনিটরিং নেই। মনিটরিংয়ের অভাবে ভোক্তারা ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন। ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় মনিটরিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। হঠাৎ চিনির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে চায়ের দোকানে। দোকানিরা এক কাপ চা ৫ থেকে ৬ টাকা বিক্রি করলেও এখন সেটি ৮-১০ টাকার বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে চা বিক্রেতা শিপন বলেন, ৫০-৬০ টাকার চিনি ১১০টাকা হয়েছে। শুধু তাই নয় দুধ, পাতা ও গ্যাসের দামও বেড়েছে। সুতরাং প্রতিকাপ চায়ের দাম বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।

তবে চিনির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বিশেষ করে চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-মিল ও পাইকারী বাজারে এসব অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে নেতৃত্ব দেবে ভোক্তা অধিদপ্তরের একাধিক টিম।

অনলাইন ডেস্ক

২২ অক্টোবর, ২০২২,  11:24 PM

news image

চাল-আটাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের চিনির বাজার। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকার দাম ঠিক করে দেওয়ার পরও তিন থেকে চার দিনের ভেতরে চিনির দাম ফের কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে বিশেষ অভিযানে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, তিন থেকে চার দিন আগে চিনি কেজিপ্রতি ৯৫ টাকা দামে বিক্রি করেছি। সেটা এখন ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বস্তা প্রতি চিনির দাম এক হাজার ৫০ টাকা বেড়েছে। মিরপুরের শেওড়াপাড়ার খুচরা  চিনি বিক্রেতা মো. শহিদুল ইসলাম প্রভাতী খবরকে বলেন, তিনদিন আগেও ৫০ কেজির চিনির বস্তা কিনেছি ৪২৫০ টাকায়, সেটা আজ ৫৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অর্থাৎ বস্তাপ্রতি ১০৫০ টাকা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, ১০৬ টাকা করে কিনে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অস্বাভাবিক বাজারে পণ্য কিনতেও ভয় লাগে। বাজার দাম কমে গেলে লসে বিক্রি করতে হবে। তবে এর আগে কখনো চিনির দাম ১০০ টাকার বেশি ওঠেনি।

এদিকে চলতি মাসের শুরুতে খুচরা বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হয় ৮৪ টাকা করে। স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে সরকার গত ৬ অক্টোবর কেজিতে দাম ছয় টাকা বাড়িয়ে দেয়। এতে খোলা চিনির দাম হয় ৯০ টাকা। যা বর্তমানে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়িয়ে নির্দিষ্ট করার পরও কেজিপ্রতি চিনির মূল্য ২০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা অলিউর রহমান প্রভাতী খবরকে বলেন, এক সপ্তাহ না যেতেই চিনির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে যাওয়াটা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। সরকার দু’সপ্তাহ আগেই ৬ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার পর মনে করেছিলাম চিনির দাম আর বাড়বে না। অথচ আজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। সরকারের নজরদারির অভাবে এমনটি হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাজার নিয়ে সরকারের কোনো মনিটরিং নেই। মনিটরিংয়ের অভাবে ভোক্তারা ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন। ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় মনিটরিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। হঠাৎ চিনির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে চায়ের দোকানে। দোকানিরা এক কাপ চা ৫ থেকে ৬ টাকা বিক্রি করলেও এখন সেটি ৮-১০ টাকার বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে চা বিক্রেতা শিপন বলেন, ৫০-৬০ টাকার চিনি ১১০টাকা হয়েছে। শুধু তাই নয় দুধ, পাতা ও গ্যাসের দামও বেড়েছে। সুতরাং প্রতিকাপ চায়ের দাম বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।

তবে চিনির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বিশেষ করে চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-মিল ও পাইকারী বাজারে এসব অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে নেতৃত্ব দেবে ভোক্তা অধিদপ্তরের একাধিক টিম।