শিরোনামঃ
কাস্টমসের দুই সিপাইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ, দুদকে আবেদন রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট মায়ের হাতে ৬ মাসের কন্যা শিশু খুন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা হরিলুট ঢাকার সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেপ্তার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ চট্টগ্রামে চেক প্রতারণার অভিযোগে সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর পরিবেশক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

স্টয়নিস তান্ডবে শ্রীলঙ্কা লন্ডভন্ড

#
news image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার পার্থ স্টেডিয়ামে তারা ৭ উইকেটে হারিয়েছে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে।
কথায় বলে- ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের জন্য এই কথাটা আরও বেশি প্রযোজ্য। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজকের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে ক্যাচ মিস আর বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য। এরপর মার্কাস স্টয়নিস এসে রীতিমতো সুনামি বইয়ে দিলেন লঙ্কান বোলারদের ওপর। সেই ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেল লঙ্কান বোলিং অ্যাটাক। এদিন শ্রীলঙ্কা টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষের ঝড়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মার্কাস স্টয়নিসের তাণ্ডবে ১৬.৩ ওভারেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। 

স্টয়নিস মাত্র ১৭ বলে ফিফটি করেন। আর ১৮ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার সঙ্গে ৪২ বলে ১ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার ১১, মিচেল মার্শ ১৮ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৩ রান করেন। রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে। লঙ্কান বোলারদের দাপটে দলীয় ২৬ রানেই মহেশ থিকশানার বলে শানাকার তালুবন্দি হন একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার (১০)। নতুন ব্যাটার মিচেল মার্শ ব্যক্তিগত ৪ রানে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান। ১৭ বলে ১৮ রান করে মার্শ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ধনাঞ্জয়ার বলে। উইকেটে এসেই মারমুখী মেজাজে ধরা দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই বিধ্বংসী ব্যাটারের সৌজন্যেই ম্যাচে ফিরে অস্ট্রেলিয়া। করুনারত্নের করা ১৩তম ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান অ্যারন ফিঞ্চ। পরের বলেই ক্যাচ তুলে দেন ম্যাক্সওয়েল। সীমানার ওপর বদলি ফিল্ডার আশান বান্দারা অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচটি তালুবন্দি করে ফেরত পাঠান ১২ বলে ২৩ করা ম্যাক্সওয়েলকে।

ওদিকে শেষ দুই ওভারে আরও ৩১ যোগ করে লঙ্কানরা। তাতেই চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে যায় এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় ওভারেই কুসল মেন্ডিসকে (৫) মিচেল মার্শের তালুবন্দি করেন প্যাট কামিন্স। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ৬৯ রানের কার্যকর এক জুটি গড়েন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা এবং পাথুম নিশাঙ্কা। ২৩ বলে ২৬ রান করা ধনাঞ্জয়া আউট হলে ভাঙে এই জুটি। নিশাঙ্কা খেলছিলেন খুবই ধীরগতিতে। তার ৪৫ বলে ৪০ রানের ইনিংসে মাত্র ২টি বাউন্ডারি। অবশেষে ১৪তম ওভারে রান-আউটে থামে তার এই শম্বুক গতির ইনিংস। উইকেটে এসেই মারমুখী ছিলেন চারিথ আশালঙ্কা। ১৫তম ওভারে তিন অংকে পৌঁছায় লঙ্কানদের স্কোর।

এরপরই মিচেল স্টার্কের বলে প্যাট কামিন্সের তালুবন্দি হন ভানুকা রাজাপাক্ষে (৭)। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাও ব্যর্থ। ৫ বলে ৩ রান করে ম্যাক্সওয়েলের শিকার হন। হার্ডহিটার হিসেবে পরিচিত হাসারাঙ্গা ডিসিলভাকে (১) শুরুতেই থামিয়ে দেন জস হ্যাজেলউড। সেখান থেকে চারিথ আসালাঙ্কা আর চামিকা করুনারত্নে ১৫ বলে ৩৭ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন। আসালাঙ্কা ২৫ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে। ৭ বলে ১৪ করেন করুনারত্নে।

অনলাইন ডেস্ক

২৬ অক্টোবর, ২০২২,  12:57 AM

news image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার পার্থ স্টেডিয়ামে তারা ৭ উইকেটে হারিয়েছে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে।
কথায় বলে- ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের জন্য এই কথাটা আরও বেশি প্রযোজ্য। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজকের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে ক্যাচ মিস আর বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য। এরপর মার্কাস স্টয়নিস এসে রীতিমতো সুনামি বইয়ে দিলেন লঙ্কান বোলারদের ওপর। সেই ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেল লঙ্কান বোলিং অ্যাটাক। এদিন শ্রীলঙ্কা টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষের ঝড়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মার্কাস স্টয়নিসের তাণ্ডবে ১৬.৩ ওভারেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। 

স্টয়নিস মাত্র ১৭ বলে ফিফটি করেন। আর ১৮ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার সঙ্গে ৪২ বলে ১ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার ১১, মিচেল মার্শ ১৮ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৩ রান করেন। রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে। লঙ্কান বোলারদের দাপটে দলীয় ২৬ রানেই মহেশ থিকশানার বলে শানাকার তালুবন্দি হন একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার (১০)। নতুন ব্যাটার মিচেল মার্শ ব্যক্তিগত ৪ রানে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান। ১৭ বলে ১৮ রান করে মার্শ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ধনাঞ্জয়ার বলে। উইকেটে এসেই মারমুখী মেজাজে ধরা দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই বিধ্বংসী ব্যাটারের সৌজন্যেই ম্যাচে ফিরে অস্ট্রেলিয়া। করুনারত্নের করা ১৩তম ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান অ্যারন ফিঞ্চ। পরের বলেই ক্যাচ তুলে দেন ম্যাক্সওয়েল। সীমানার ওপর বদলি ফিল্ডার আশান বান্দারা অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচটি তালুবন্দি করে ফেরত পাঠান ১২ বলে ২৩ করা ম্যাক্সওয়েলকে।

ওদিকে শেষ দুই ওভারে আরও ৩১ যোগ করে লঙ্কানরা। তাতেই চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে যায় এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় ওভারেই কুসল মেন্ডিসকে (৫) মিচেল মার্শের তালুবন্দি করেন প্যাট কামিন্স। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ৬৯ রানের কার্যকর এক জুটি গড়েন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা এবং পাথুম নিশাঙ্কা। ২৩ বলে ২৬ রান করা ধনাঞ্জয়া আউট হলে ভাঙে এই জুটি। নিশাঙ্কা খেলছিলেন খুবই ধীরগতিতে। তার ৪৫ বলে ৪০ রানের ইনিংসে মাত্র ২টি বাউন্ডারি। অবশেষে ১৪তম ওভারে রান-আউটে থামে তার এই শম্বুক গতির ইনিংস। উইকেটে এসেই মারমুখী ছিলেন চারিথ আশালঙ্কা। ১৫তম ওভারে তিন অংকে পৌঁছায় লঙ্কানদের স্কোর।

এরপরই মিচেল স্টার্কের বলে প্যাট কামিন্সের তালুবন্দি হন ভানুকা রাজাপাক্ষে (৭)। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাও ব্যর্থ। ৫ বলে ৩ রান করে ম্যাক্সওয়েলের শিকার হন। হার্ডহিটার হিসেবে পরিচিত হাসারাঙ্গা ডিসিলভাকে (১) শুরুতেই থামিয়ে দেন জস হ্যাজেলউড। সেখান থেকে চারিথ আসালাঙ্কা আর চামিকা করুনারত্নে ১৫ বলে ৩৭ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন। আসালাঙ্কা ২৫ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে। ৭ বলে ১৪ করেন করুনারত্নে।