শিরোনামঃ
কাস্টমসের দুই সিপাইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ, দুদকে আবেদন রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট মায়ের হাতে ৬ মাসের কন্যা শিশু খুন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা হরিলুট ঢাকার সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেপ্তার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ চট্টগ্রামে চেক প্রতারণার অভিযোগে সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর পরিবেশক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের রেললাইনে চললো পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’

#
news image

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’ সফলভাবে চলাচল করেছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ভাঙ্গা পুরনো স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক রেলটি পদ্মা সেতুর অভিমুখে ছেড়ে আসে।

চার কিলোমিটার পাথরবিহীন এবং ২৮ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন পাড়ি দিয়ে দুপুর ১টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায় কারটি। মাঝপথে কয়েকটি স্থানে নেওয়া হয় বিরতি। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মাওয়া-ভাঙা (সেকশন-২) অংশের স্টেশন ইনচার্জ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ৩২ কিলোমিটার পথে আধুনিক রেললাইন বসে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে এ পথের কাজ শেষ হয়েছিল। আজ চীনা তৈরি একটি গ্যাঙকার পরীক্ষামূলক চালানো হয়। পরীক্ষামূলক হওয়ায় কিছুটা ধীরগতিতে কারটি চালানো হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বিরতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ পথে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। আজকের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হয়েছে।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ৪৫০ মিলিমিটার পুরুত্বের সাব বেলাস্ট তৈরির পরই এর ওপর প্রথমে ১৫০ মিলিমিটার ভারী করে পাথর টুকরো বিছিয়ে কমপেকসন করা হয়েছে। এরপর চীনা ট্র্যাক ক্যারিয়ার মেশিনে একসঙ্গে ১৫ টন ওজনের ২৫ মিটার দীর্ঘ ‘ট্র্যাক প্যানেল’ বসিয়ে দেওয়া হয়। এর ওপর ৭৫ মিলিমিটার ভারী করে দুদফায় পাথর টুকরো ফেলে কমপেকসনে কংক্রিটের স্লিপার পোক্তভাবে বসানো হচ্ছে। ফাইনাল টিউনিং করে এলাইনমেন্ট ঠিক হলেই টেম্পিং করে ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দ্রুত গতির রেল চলাচল উপযোগী করে নিখুঁতভাবে রেল ট্র্যাক বসানো হয়।

এদিকে মাওয়া-ভাঙা সংযোগে ট্রেন পাড়ি দেবে পদ্মা সেতু। তবে এখনো পর্যন্ত মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়নি। পদ্মা সেতুর নিচতলায় রেল লাইন বসানো জন্য প্রস্তুতির কাজ চলছে সতর্কতার সঙ্গে। সেতুতে রেললাইন বসানোর পরই সেতু অতিক্রম করবে ট্রেন। পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকৌশলীরা। রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললিঙ্ক প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালে। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলের টার্গেট আছে আগামী বছরের জুনে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ নভেম্বর, ২০২২,  8:40 PM

news image

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’ সফলভাবে চলাচল করেছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ভাঙ্গা পুরনো স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক রেলটি পদ্মা সেতুর অভিমুখে ছেড়ে আসে।

চার কিলোমিটার পাথরবিহীন এবং ২৮ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন পাড়ি দিয়ে দুপুর ১টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায় কারটি। মাঝপথে কয়েকটি স্থানে নেওয়া হয় বিরতি। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মাওয়া-ভাঙা (সেকশন-২) অংশের স্টেশন ইনচার্জ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ৩২ কিলোমিটার পথে আধুনিক রেললাইন বসে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে এ পথের কাজ শেষ হয়েছিল। আজ চীনা তৈরি একটি গ্যাঙকার পরীক্ষামূলক চালানো হয়। পরীক্ষামূলক হওয়ায় কিছুটা ধীরগতিতে কারটি চালানো হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বিরতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ পথে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। আজকের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হয়েছে।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ৪৫০ মিলিমিটার পুরুত্বের সাব বেলাস্ট তৈরির পরই এর ওপর প্রথমে ১৫০ মিলিমিটার ভারী করে পাথর টুকরো বিছিয়ে কমপেকসন করা হয়েছে। এরপর চীনা ট্র্যাক ক্যারিয়ার মেশিনে একসঙ্গে ১৫ টন ওজনের ২৫ মিটার দীর্ঘ ‘ট্র্যাক প্যানেল’ বসিয়ে দেওয়া হয়। এর ওপর ৭৫ মিলিমিটার ভারী করে দুদফায় পাথর টুকরো ফেলে কমপেকসনে কংক্রিটের স্লিপার পোক্তভাবে বসানো হচ্ছে। ফাইনাল টিউনিং করে এলাইনমেন্ট ঠিক হলেই টেম্পিং করে ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দ্রুত গতির রেল চলাচল উপযোগী করে নিখুঁতভাবে রেল ট্র্যাক বসানো হয়।

এদিকে মাওয়া-ভাঙা সংযোগে ট্রেন পাড়ি দেবে পদ্মা সেতু। তবে এখনো পর্যন্ত মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়নি। পদ্মা সেতুর নিচতলায় রেল লাইন বসানো জন্য প্রস্তুতির কাজ চলছে সতর্কতার সঙ্গে। সেতুতে রেললাইন বসানোর পরই সেতু অতিক্রম করবে ট্রেন। পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকৌশলীরা। রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললিঙ্ক প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালে। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলের টার্গেট আছে আগামী বছরের জুনে।