শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

হতাশার ড্রয়ে শেষ হলো চট্টগ্রাম টেস্ট

#
news image

ড্র’তেই শেষ হলো বাংলাদেশ-শ্রীলংকার মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম ও শেষ দিন পর্যন্ত ৯১ দশমিক ১ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬০ রান করে শ্রীলংকা। শেষ পর্যন্ত দ্ইু দলই ম্যাচটি ড্র মেনে নেয়। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকা ৩৯৭ ও বাংলাদেশ ৪৬৫ রান করেছিলো। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ১৩১তম ম্যাচে ১৮তম ড্রর স্বাদ পেলো  বাংলাদেশ। আর শ্রীলংকার বিপক্ষে পঞ্চম ড্র এটি।
এই ড্রতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ৪ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। ৭ ম্যাচে ১ জয়, ৫ হার ও ১ ড্রতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে বাংলাদেশ। আর ৫ ম্যাচে ২টি করে জয়-হার ও ১টি ড্রতে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে শ্রীলংকা।
আগের দিন, মানে চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৬৮ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। ৩৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদেও পড়ে তারা। শ্রীলঙ্কাকে বিপদে ফেলায় বড় ভূমিকা রাখেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার ওশাদা ফার্নান্ডোকে রান আউট করার পর তিনি তুলে নেন নাইটওয়াচ ম্যান লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকেও।
আজ পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেও বাংলাদেশ দলে আশার একটা বাতাস বইয়ে দেন তাইজুল। প্রথম সেশনে তিনি তুলে নেন শ্রীলঙ্কার আরও ২ উইকেট। কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় ৪ উইকেটে ১২৮ রান নিয়ে। মেন্ডিসকে ফেরাতে তাইজুল করেছেন অসাধারণ এক বল। আর ম্যাথুসকে আউট করতে নিয়েছেন অসাধারণ এক ফিরতি ক্যাচ।
মেন্ডিসকে ভাসিয়ে দেওয়া গুড লেংথের একটি বলই করেছিলেন তাইজুল। মিডল ও অফ স্টাম্প বরাবর করা তাইজুলের ফ্লাইট বুঝতেই পারেননি মেন্ডিস। ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। অনেকক্ষণ ধরেই ম্যাথুস তাইজুলের আঁটসাঁট বোলিংয়ের বিপক্ষে ভুগছিলেন। অবশেষে তিনি সিদ্ধান্ত নেন পাল্টা আক্রমণ করার। তাইজুলের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বলটি গেল তাইজুলের মাথা বরাবর। জোরে আসা সেই বলটি ক্যাচ বানাতে অনেক দ্রুত সাড়া দিতে হয়েছে তাইজুলকে।
ম্যাথুস আউট হয়ে ফেরার সময় শ্রীলঙ্কার লিড ছিল ৬০ রানের। বাংলাদেশের হাতে তখনো প্রায় আড়াই সেশন সময় ছিল। তাই এখান থেকে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারত। দ্বিতীয় সেশনের ১৩ ওভারের মধ্যে শ্রীলঙ্কার আরও দুটি উইকেট ফেলে দিয়ে তেমন কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তাইজুল ও সাকিব আল হাসান।
দ্বিতীয় সেশনের পানি পানের বিরতির আগেই শ্রীলঙ্কার স্কোর হয়ে যায় ৬ উইকেটে ১৬১ রান। তাইজুলের বলে মিড উইকেটে মুমিনুলের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরে যান দিমুথ করুনারত্নে। আর দনাঞ্জয়া ডি সিলভা ফেরেন সাকিব আল হাসানের বলে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়ে।
এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন চান্ডিমাল ও ডিকভেলা। এ দুজনের দৃঢ়তায়ই ৬ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে যেতে পারে শ্রীলঙ্কা। চা বিরতি থেকে ফিরেও একই রকম দৃঢ়তা নিয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন তাঁরা দুজন। তাঁদের প্রতিরোধের দেয়ালে আর ফাটল ধরাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ১ ঘণ্টা বাকি থাকতেই ড্র মেনে নেয় দুই দল।
ম্যাচ ড্র হওয়ার সময় ২০৪ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন চান্ডিমাল ও ডিকভেলা। ৪ চার ও ১ ছয়ে চান্ডিমাল ১৩৫ বলে করেছেন অপরাজিত ৩৯ রান। আর ডিকভেলা অপরাজিত ছিলেন ৯৬ বলে ৬১ রান করে। ৩৪ ওভার বোলিং করে ৮২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান করে আউট হওয়া ম্যাথুস।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মে, ২০২২,  1:15 AM

news image

ড্র’তেই শেষ হলো বাংলাদেশ-শ্রীলংকার মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম ও শেষ দিন পর্যন্ত ৯১ দশমিক ১ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬০ রান করে শ্রীলংকা। শেষ পর্যন্ত দ্ইু দলই ম্যাচটি ড্র মেনে নেয়। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকা ৩৯৭ ও বাংলাদেশ ৪৬৫ রান করেছিলো। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ১৩১তম ম্যাচে ১৮তম ড্রর স্বাদ পেলো  বাংলাদেশ। আর শ্রীলংকার বিপক্ষে পঞ্চম ড্র এটি।
এই ড্রতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ৪ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। ৭ ম্যাচে ১ জয়, ৫ হার ও ১ ড্রতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে বাংলাদেশ। আর ৫ ম্যাচে ২টি করে জয়-হার ও ১টি ড্রতে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে শ্রীলংকা।
আগের দিন, মানে চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৬৮ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। ৩৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদেও পড়ে তারা। শ্রীলঙ্কাকে বিপদে ফেলায় বড় ভূমিকা রাখেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার ওশাদা ফার্নান্ডোকে রান আউট করার পর তিনি তুলে নেন নাইটওয়াচ ম্যান লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকেও।
আজ পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেও বাংলাদেশ দলে আশার একটা বাতাস বইয়ে দেন তাইজুল। প্রথম সেশনে তিনি তুলে নেন শ্রীলঙ্কার আরও ২ উইকেট। কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় ৪ উইকেটে ১২৮ রান নিয়ে। মেন্ডিসকে ফেরাতে তাইজুল করেছেন অসাধারণ এক বল। আর ম্যাথুসকে আউট করতে নিয়েছেন অসাধারণ এক ফিরতি ক্যাচ।
মেন্ডিসকে ভাসিয়ে দেওয়া গুড লেংথের একটি বলই করেছিলেন তাইজুল। মিডল ও অফ স্টাম্প বরাবর করা তাইজুলের ফ্লাইট বুঝতেই পারেননি মেন্ডিস। ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। অনেকক্ষণ ধরেই ম্যাথুস তাইজুলের আঁটসাঁট বোলিংয়ের বিপক্ষে ভুগছিলেন। অবশেষে তিনি সিদ্ধান্ত নেন পাল্টা আক্রমণ করার। তাইজুলের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বলটি গেল তাইজুলের মাথা বরাবর। জোরে আসা সেই বলটি ক্যাচ বানাতে অনেক দ্রুত সাড়া দিতে হয়েছে তাইজুলকে।
ম্যাথুস আউট হয়ে ফেরার সময় শ্রীলঙ্কার লিড ছিল ৬০ রানের। বাংলাদেশের হাতে তখনো প্রায় আড়াই সেশন সময় ছিল। তাই এখান থেকে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারত। দ্বিতীয় সেশনের ১৩ ওভারের মধ্যে শ্রীলঙ্কার আরও দুটি উইকেট ফেলে দিয়ে তেমন কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তাইজুল ও সাকিব আল হাসান।
দ্বিতীয় সেশনের পানি পানের বিরতির আগেই শ্রীলঙ্কার স্কোর হয়ে যায় ৬ উইকেটে ১৬১ রান। তাইজুলের বলে মিড উইকেটে মুমিনুলের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরে যান দিমুথ করুনারত্নে। আর দনাঞ্জয়া ডি সিলভা ফেরেন সাকিব আল হাসানের বলে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়ে।
এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন চান্ডিমাল ও ডিকভেলা। এ দুজনের দৃঢ়তায়ই ৬ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে যেতে পারে শ্রীলঙ্কা। চা বিরতি থেকে ফিরেও একই রকম দৃঢ়তা নিয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন তাঁরা দুজন। তাঁদের প্রতিরোধের দেয়ালে আর ফাটল ধরাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ১ ঘণ্টা বাকি থাকতেই ড্র মেনে নেয় দুই দল।
ম্যাচ ড্র হওয়ার সময় ২০৪ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন চান্ডিমাল ও ডিকভেলা। ৪ চার ও ১ ছয়ে চান্ডিমাল ১৩৫ বলে করেছেন অপরাজিত ৩৯ রান। আর ডিকভেলা অপরাজিত ছিলেন ৯৬ বলে ৬১ রান করে। ৩৪ ওভার বোলিং করে ৮২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান করে আউট হওয়া ম্যাথুস।