শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টিকে থাকলো পাকিস্তান

#
news image

ভারত ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পাকিস্তান টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো। নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর একমাত্র অপরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকাকেও থামালো তারা। বৃষ্টি আইনে ৩৩ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান।

ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খানের হাফ সেঞ্চুরি, সঙ্গে মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজের ছোটখাটো ঝড়। এই চার ইনিংসে পুঁজি করে পাকিস্তান করে ফেলে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ।

লক্ষ্যে নেমে ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শাহীন শাহ আফ্রিদি তার প্রথম দুই ওভারে কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুসোকে সরান। ওই ধাক্কা টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম ঝড় তুলে কাটিয়ে ওঠেন। কিন্তু শাদাব খান বল হাতে নিয়েই পথের এই দুই কাঁটাকে সরিয়ে ফেলেন।

ব্যস, চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৯ রান তাদের, তখনই নামে বৃষ্টি। আর খেলা না হলে ১৬ রানে জিতে যেতো পাকিস্তান। কিন্তু এক ঘণ্টা পর আবারও মাঠে নামলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। তখন বৃষ্টি আইনে কাটছাঁট করে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ালো ১৪ ওভারে ১৪২ রান। মানে ৩০ বলে করতে হতো আরও ৭৩ রান।

বিরতির পর প্রথম ওভারেই শাদাবকে ছয় ও চার মেরে ১৪ রান তুলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন ট্রিস্টান স্টাবস ও হেনরিখ ক্লাসেন। পরের ওভারে দুটি চার মেরে ক্লাসেন প্রোটিয়াদের আশার আলো জ্বালিয়ে রাখেন। কিন্তু আফ্রিদি আর এগোতে দেননি তাকে। দুটি চার হজমের পর শর্ট থার্ডে তাকে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ক্যাচ বানান। ৯ বলে তিনটি চারে ১৫ রানে আউট ক্লাসেন।

এরপর খোলসবন্দি হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়াসিম নতুন ব্যাটসম্যান ওয়েন পার্নেলকে এলবিডব্লিউ করেন। শেষ দুই ওভারে ৪৩ রান প্রয়োজন, হাতে চার উইকেট। এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে আর পারেনি প্রোটিয়ারা। পরের ১২ বলে আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে ৯ রান করে তারা।

নাসিম শাহ ফেরান স্টাবসকে (১৮)। ডিপ স্কয়ার লেগে নওয়াজের ক্যাচ হন তিনি। হারিস রউফের শেষ ওভারে কাগিসো রাবাদা (১) রান আউট হন। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে হারিসকে ক্যাচ দেন আনরিখ নর্কিয়ে (১)। ১৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৮ রান করে আফ্রিকান দলটি।

২২ বলে ৫১ রান করার পর বল হাতে ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন শাদাব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদেরই মাটিতে নামিয়ে পাকিস্তান বাঁচিয়ে রাখলো সেমিফাইনালের আশা। 

চার ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে তিনে উঠে গেলো পাকিস্তান। ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ভারত। দুই নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। ৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ চার নম্বরে। 

পাকিস্তানের এই জয়ে জমে উঠলো গ্রুপ-২ এর লড়াই। ভারত জিম্বাবুয়েকে আর দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালে উঠবে। আর যদি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত শেষ ম্যাচ হারে তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে শেষ চারের টিকিট পাবে পাকিস্তান। তখন ভারত হবে তাদের সঙ্গী, বিদায় নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে এবং ভারত হারে, তাহলে বাংলাদেশকে হারাতে পারলে প্রোটিয়াদের সঙ্গে সেমিফাইনালে যাবেন বাবর আজমরা। বিদায় নেবেন রোহিত শর্মারা।

অনলাইন ডেস্ক

০৪ নভেম্বর, ২০২২,  12:04 AM

news image

ভারত ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পাকিস্তান টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো। নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর একমাত্র অপরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকাকেও থামালো তারা। বৃষ্টি আইনে ৩৩ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান।

ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খানের হাফ সেঞ্চুরি, সঙ্গে মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজের ছোটখাটো ঝড়। এই চার ইনিংসে পুঁজি করে পাকিস্তান করে ফেলে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ।

লক্ষ্যে নেমে ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শাহীন শাহ আফ্রিদি তার প্রথম দুই ওভারে কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুসোকে সরান। ওই ধাক্কা টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম ঝড় তুলে কাটিয়ে ওঠেন। কিন্তু শাদাব খান বল হাতে নিয়েই পথের এই দুই কাঁটাকে সরিয়ে ফেলেন।

ব্যস, চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৯ রান তাদের, তখনই নামে বৃষ্টি। আর খেলা না হলে ১৬ রানে জিতে যেতো পাকিস্তান। কিন্তু এক ঘণ্টা পর আবারও মাঠে নামলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। তখন বৃষ্টি আইনে কাটছাঁট করে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ালো ১৪ ওভারে ১৪২ রান। মানে ৩০ বলে করতে হতো আরও ৭৩ রান।

বিরতির পর প্রথম ওভারেই শাদাবকে ছয় ও চার মেরে ১৪ রান তুলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন ট্রিস্টান স্টাবস ও হেনরিখ ক্লাসেন। পরের ওভারে দুটি চার মেরে ক্লাসেন প্রোটিয়াদের আশার আলো জ্বালিয়ে রাখেন। কিন্তু আফ্রিদি আর এগোতে দেননি তাকে। দুটি চার হজমের পর শর্ট থার্ডে তাকে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ক্যাচ বানান। ৯ বলে তিনটি চারে ১৫ রানে আউট ক্লাসেন।

এরপর খোলসবন্দি হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়াসিম নতুন ব্যাটসম্যান ওয়েন পার্নেলকে এলবিডব্লিউ করেন। শেষ দুই ওভারে ৪৩ রান প্রয়োজন, হাতে চার উইকেট। এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে আর পারেনি প্রোটিয়ারা। পরের ১২ বলে আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে ৯ রান করে তারা।

নাসিম শাহ ফেরান স্টাবসকে (১৮)। ডিপ স্কয়ার লেগে নওয়াজের ক্যাচ হন তিনি। হারিস রউফের শেষ ওভারে কাগিসো রাবাদা (১) রান আউট হন। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে হারিসকে ক্যাচ দেন আনরিখ নর্কিয়ে (১)। ১৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৮ রান করে আফ্রিকান দলটি।

২২ বলে ৫১ রান করার পর বল হাতে ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন শাদাব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদেরই মাটিতে নামিয়ে পাকিস্তান বাঁচিয়ে রাখলো সেমিফাইনালের আশা। 

চার ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে তিনে উঠে গেলো পাকিস্তান। ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ভারত। দুই নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। ৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ চার নম্বরে। 

পাকিস্তানের এই জয়ে জমে উঠলো গ্রুপ-২ এর লড়াই। ভারত জিম্বাবুয়েকে আর দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালে উঠবে। আর যদি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত শেষ ম্যাচ হারে তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে শেষ চারের টিকিট পাবে পাকিস্তান। তখন ভারত হবে তাদের সঙ্গী, বিদায় নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে এবং ভারত হারে, তাহলে বাংলাদেশকে হারাতে পারলে প্রোটিয়াদের সঙ্গে সেমিফাইনালে যাবেন বাবর আজমরা। বিদায় নেবেন রোহিত শর্মারা।