শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

অনুদানের ১০ বছর পর ছবি মুক্তি!

#
news image

২০১২-১৩ অর্থবছরে ছবিটিকে অনুদান দিয়েছিলো সরকার। এরপর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ নয় বছর।  অবশেষে এর মুক্তির ঘোষণা এলো। ছবিটির নাম ‘হডসনের বন্দুক’। নির্মাণ করেছেন প্রশান্ত অধিকারী। আগামী ২ ডিসেম্বর মুক্তি পাঁচ্ছে এটি। এ উপলক্ষে বুধবার প্রকাশ করা হচ্ছে গোয়েন্দা গল্পের ছবিটির ট্রেলার। এরপর ধাপে ধাপে আসবে ছবির গানগুলো। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ ও মৌসুমী হামিদ। চলচ্চিত্র অনুদান নীতিমালা অনুসারে, প্রথম চেক প্রাপ্তির নয় মাসের মধ্যে সিনেমা নির্মাণ সম্পন্ন করতে হয়। সেক্ষেত্রে ‘হডসনের বন্দুক’ মুক্তির মিছিলে আসতে এত বিলম্ব কেন? বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় নির্মাতা প্রশান্ত অধিকারীর সঙ্গে। তিনিবললেন, ‘আমি তো মূলত চিত্রশিল্পী। নিজের প্রথম সিনেমা, ইচ্ছে ছিলো অনেক বড় ক্যানভাসে এটা বানাবো। যখন চিত্রনাট্য লিখেছিলাম, তখন ভাবনায় ছিলেন প্রয়াত হুমায়ুন ফরীদি। কিন্তু তিনি মারা গেলেন। এরপর আমি ভারতের নাসিরুদ্দিন শাহ, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অঞ্জন দত্ত অনেকের কাছে গিয়েছি। দীর্ঘ সময় আমি কাস্টিংয়ের পেছনে দৌড়েছি। এরপর মিশা সওদাগরকে নিয়েছিলাম। দিন পাঁচেক শুটিংও করেছি তাকে নিয়ে। কিন্তু তার অপেশাদার আচরণের ফলে আর কাজ করা সম্ভব হয়নি।’ ‘এসব কাজের জন্য কিন্তু প্রচুর সময় চলে যাচ্ছিলো। একেকটা প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আরেকটা শুরু করা, সেটাতে সময় দেওয়া। আবার সরকারের কাছ থেকে সবমিলে টাকা পেলাম ৩০ লাখ। তাও সেটা দেয় তিন-চার কিস্তিতে। সিনেমার শুটিং শুরু করতে গেলেই পাঁচ দিনের জন্য মোটামুটি ১৫ লাখ টাকা লাগে। তো সেজন্য নিজে কিছুদিন পেইন্টিং করি, টাকা জমাই, এরপর কাজ করি। এভাবে করে করে সময় লেগে গেছে’- বললেন প্রশান্ত অধিকারী। এর মধ্যে আবার পরপর দুই বছরে নিজের বাবা-মাকেও হারিয়েছেন এই নির্মাতা। ফলে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ছিলেন নানা সমস্যা-সংকটে। সবকিছু ছাপিয়ে বছর তিনেক আগেই ‘হডসনের বন্দুক’ নির্মাণ শেষ করেন এবং সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পান। কিন্তু আবার হানা দেয় মহামারি করোনাভাইরাস। সে কারণে ফের আটকে যায় ছবিটির অগ্রযাত্রা। বাজেট, প্রযুক্তি নানা কারণে সময়ের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে ছিলো ‘হডসনের বন্দুক’র নির্মাণশৈলি। তাই পুনরায় ছবিটির সংশোধন, সংস্কার করছেন প্রশান্ত অধিকারী। এর জন্য অতিরিক্ত আরও লাখ পাঁচেক টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘হডসনের বন্দুক’। এতে আরও অভিনয় করেছেন মাজিদ শিখালিভ (রাশিয়া), এস এম মহসিন, কাজী উজ্জল, অর্নব অন্তু প্রমুখ। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাতার। 

প্রভাতী খবর ডেস্ক

১০ নভেম্বর, ২০২২,  12:33 AM

news image

২০১২-১৩ অর্থবছরে ছবিটিকে অনুদান দিয়েছিলো সরকার। এরপর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ নয় বছর।  অবশেষে এর মুক্তির ঘোষণা এলো। ছবিটির নাম ‘হডসনের বন্দুক’। নির্মাণ করেছেন প্রশান্ত অধিকারী। আগামী ২ ডিসেম্বর মুক্তি পাঁচ্ছে এটি। এ উপলক্ষে বুধবার প্রকাশ করা হচ্ছে গোয়েন্দা গল্পের ছবিটির ট্রেলার। এরপর ধাপে ধাপে আসবে ছবির গানগুলো। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ ও মৌসুমী হামিদ। চলচ্চিত্র অনুদান নীতিমালা অনুসারে, প্রথম চেক প্রাপ্তির নয় মাসের মধ্যে সিনেমা নির্মাণ সম্পন্ন করতে হয়। সেক্ষেত্রে ‘হডসনের বন্দুক’ মুক্তির মিছিলে আসতে এত বিলম্ব কেন? বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় নির্মাতা প্রশান্ত অধিকারীর সঙ্গে। তিনিবললেন, ‘আমি তো মূলত চিত্রশিল্পী। নিজের প্রথম সিনেমা, ইচ্ছে ছিলো অনেক বড় ক্যানভাসে এটা বানাবো। যখন চিত্রনাট্য লিখেছিলাম, তখন ভাবনায় ছিলেন প্রয়াত হুমায়ুন ফরীদি। কিন্তু তিনি মারা গেলেন। এরপর আমি ভারতের নাসিরুদ্দিন শাহ, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অঞ্জন দত্ত অনেকের কাছে গিয়েছি। দীর্ঘ সময় আমি কাস্টিংয়ের পেছনে দৌড়েছি। এরপর মিশা সওদাগরকে নিয়েছিলাম। দিন পাঁচেক শুটিংও করেছি তাকে নিয়ে। কিন্তু তার অপেশাদার আচরণের ফলে আর কাজ করা সম্ভব হয়নি।’ ‘এসব কাজের জন্য কিন্তু প্রচুর সময় চলে যাচ্ছিলো। একেকটা প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আরেকটা শুরু করা, সেটাতে সময় দেওয়া। আবার সরকারের কাছ থেকে সবমিলে টাকা পেলাম ৩০ লাখ। তাও সেটা দেয় তিন-চার কিস্তিতে। সিনেমার শুটিং শুরু করতে গেলেই পাঁচ দিনের জন্য মোটামুটি ১৫ লাখ টাকা লাগে। তো সেজন্য নিজে কিছুদিন পেইন্টিং করি, টাকা জমাই, এরপর কাজ করি। এভাবে করে করে সময় লেগে গেছে’- বললেন প্রশান্ত অধিকারী। এর মধ্যে আবার পরপর দুই বছরে নিজের বাবা-মাকেও হারিয়েছেন এই নির্মাতা। ফলে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ছিলেন নানা সমস্যা-সংকটে। সবকিছু ছাপিয়ে বছর তিনেক আগেই ‘হডসনের বন্দুক’ নির্মাণ শেষ করেন এবং সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পান। কিন্তু আবার হানা দেয় মহামারি করোনাভাইরাস। সে কারণে ফের আটকে যায় ছবিটির অগ্রযাত্রা। বাজেট, প্রযুক্তি নানা কারণে সময়ের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে ছিলো ‘হডসনের বন্দুক’র নির্মাণশৈলি। তাই পুনরায় ছবিটির সংশোধন, সংস্কার করছেন প্রশান্ত অধিকারী। এর জন্য অতিরিক্ত আরও লাখ পাঁচেক টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘হডসনের বন্দুক’। এতে আরও অভিনয় করেছেন মাজিদ শিখালিভ (রাশিয়া), এস এম মহসিন, কাজী উজ্জল, অর্নব অন্তু প্রমুখ। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাতার।