শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট মায়ের হাতে ৬ মাসের কন্যা শিশু খুন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা হরিলুট ঢাকার সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেপ্তার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ চট্টগ্রামে চেক প্রতারণার অভিযোগে সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর পরিবেশক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কাপাসিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত, ভোগান্তিতে শত শত সেবাগ্রহীতা

আফ্রিকা হতে পারে বাংলাদেশের বাজার

#
news image

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। সেখানে আরও সুযোগ অন্বেষণ করতে হবে। রোববার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘আফ্রিকায় নজর: বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত অন্বেষণ’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে বিআইআইএসএস।

সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পররাষ্ট্রসচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আফ্রিকার ১০টি দেশে আমাদের মিশন রয়েছে। সেখানে আমরা আরও নতুন মিশন খোলার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আফ্রিকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আগে কাজ করেছি। এছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্জ ঝুঁকি মোকাবিলায়ও সেখানের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করেছি। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আফ্রিকা ভালো বাজার হতে পারে। আফ্রিকার খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আফ্রিকায় ভারত ও চীনের উপস্থিতি ব্যাপক। আমাদের তেমন উপস্থিতি নেই। আমাদের সেই সুযোগ নিতে হবে। আমরা সেখানে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। তবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দুবাই, কানাডা, আবুধাবি, যুক্তরাষ্ট্রে যায়, আফ্রিকায় যায় না। তবে আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতও বিবেচনায় নিতে হবে।

মূল প্রবন্ধে মাশফি বিনতে শামস বলেন, বঙ্গবন্ধু আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি গড়েছিলেন। আলজেরিয়া ও মিশরে ১৯৭৩ সালে মিশন খোলা হয়। পরে কেনিয়া সেনেগাল, জিম্বাবুয়ে, লিবিয়া ও মরক্কোয় মিশন খোলা হয়। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই থমকে যায়। এখন সেখানে ১০টি মিশন রয়েছে।

তিনি বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আমাদের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছে। এটা ইতিবাচক দিক। আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য, ওষুধ শিল্প রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ নিতে হবে। আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দ্বৈত কর প্রত্যাহারে জোর দেন মাশফি বিনতে শামস।

বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের সুযোগ রয়েছে। পোশাক শিল্প পণ্যেরও রপতানির সুযোগ রয়েছে আমাদের। সেখানে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়েরও সুযোগ রয়েছে। আফ্রিকা অনেক দূরের মহাদেশও নয়। তিনি বলেন, সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা বিকাশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ভূমিকা রেখেছে।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।

অনলাইন ডেস্ক

১৪ নভেম্বর, ২০২২,  1:24 AM

news image

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। সেখানে আরও সুযোগ অন্বেষণ করতে হবে। রোববার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘আফ্রিকায় নজর: বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত অন্বেষণ’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে বিআইআইএসএস।

সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পররাষ্ট্রসচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আফ্রিকার ১০টি দেশে আমাদের মিশন রয়েছে। সেখানে আমরা আরও নতুন মিশন খোলার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আফ্রিকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আগে কাজ করেছি। এছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্জ ঝুঁকি মোকাবিলায়ও সেখানের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করেছি। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আফ্রিকা ভালো বাজার হতে পারে। আফ্রিকার খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আফ্রিকায় ভারত ও চীনের উপস্থিতি ব্যাপক। আমাদের তেমন উপস্থিতি নেই। আমাদের সেই সুযোগ নিতে হবে। আমরা সেখানে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। তবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দুবাই, কানাডা, আবুধাবি, যুক্তরাষ্ট্রে যায়, আফ্রিকায় যায় না। তবে আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতও বিবেচনায় নিতে হবে।

মূল প্রবন্ধে মাশফি বিনতে শামস বলেন, বঙ্গবন্ধু আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি গড়েছিলেন। আলজেরিয়া ও মিশরে ১৯৭৩ সালে মিশন খোলা হয়। পরে কেনিয়া সেনেগাল, জিম্বাবুয়ে, লিবিয়া ও মরক্কোয় মিশন খোলা হয়। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই থমকে যায়। এখন সেখানে ১০টি মিশন রয়েছে।

তিনি বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আমাদের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছে। এটা ইতিবাচক দিক। আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য, ওষুধ শিল্প রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ নিতে হবে। আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দ্বৈত কর প্রত্যাহারে জোর দেন মাশফি বিনতে শামস।

বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের সুযোগ রয়েছে। পোশাক শিল্প পণ্যেরও রপতানির সুযোগ রয়েছে আমাদের। সেখানে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়েরও সুযোগ রয়েছে। আফ্রিকা অনেক দূরের মহাদেশও নয়। তিনি বলেন, সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা বিকাশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ভূমিকা রেখেছে।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।