শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট মায়ের হাতে ৬ মাসের কন্যা শিশু খুন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা হরিলুট ঢাকার সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেপ্তার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ চট্টগ্রামে চেক প্রতারণার অভিযোগে সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর পরিবেশক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কাপাসিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত, ভোগান্তিতে শত শত সেবাগ্রহীতা

কাপাসিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত, ভোগান্তিতে শত শত সেবাগ্রহীতা

#
news image

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় বিপাকে পড়েছেন জমি ক্রয়-বিক্রয়কারীরা। এর ফলে যেমন সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, তেমনই ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ সেবাগ্রহীতারা।
 
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই জমি রেজিস্ট্রির জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময় আনোয়ার মাঝি (৬০) নামের এক সেবাগ্রহীতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, “আমি জটিল রোগে আক্রান্ত, অপারেশন করাতে হবে। তাই জমিটি বিক্রি করতে হাতবায়না নিয়েছি। আজ রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার নেই।”
 
অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার সাব-রেজিস্ট্রার ওসমান গনি মণ্ডল শেষবারের মতো অফিস করেন। এরপর থেকে (৩০ জুলাই পর্যন্ত) পদটি শূন্য রয়েছে। এ অবস্থায় জমির দলিল রেজিস্ট্রি, নতুন দলিল উত্তোলন এবং নকল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে অফিসের কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন, আর সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে বিপাকে।
 
গাজীপুর পৌরসভার তেলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোসাম্মৎ রবিজা খাতুন বলেন, “গত সাত দিন ধরে রেজিস্ট্রির জন্য এখানে বারবার আসছি। আমার মতো অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে এখানে এসেছেন, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।”
 
দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান বাদল বলেন, “২৩ জুলাই সাব-রেজিস্ট্রার শেষবার অফিস করেন। এখন পর্যন্ত কেউ পদায়ন করা হয়নি। প্রতিদিন এখানে সাপকবলা, দানপত্র, হেবা মূলে ৪০-৫০টি দলিল রেজিস্ট্রি হতো। গত নয় দিনে তিনশ থেকে চারশ দলিলের রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।”
 
এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, “২৩ জুলাই সাব-রেজিস্ট্রার ওসমান গনির চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আরও এক বছরের জন্য চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করলেও চেম্বার জজ আদালত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এতে জটিলতা তৈরি হয়েছে।”
 
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মেজবাউদ্দিন বলেন, “আজ আট দিন যাবত রেজিস্ট্রার নেই। কবে নাগাদ নতুন সাব-রেজিস্ট্রার আসবেন তা অনিশ্চিত। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ই সঠিক তথ্য দিতে পারবে।”

নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ আগস্ট, ২০২৫,  1:48 PM

news image

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় বিপাকে পড়েছেন জমি ক্রয়-বিক্রয়কারীরা। এর ফলে যেমন সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, তেমনই ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ সেবাগ্রহীতারা।
 
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই জমি রেজিস্ট্রির জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময় আনোয়ার মাঝি (৬০) নামের এক সেবাগ্রহীতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, “আমি জটিল রোগে আক্রান্ত, অপারেশন করাতে হবে। তাই জমিটি বিক্রি করতে হাতবায়না নিয়েছি। আজ রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার নেই।”
 
অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার সাব-রেজিস্ট্রার ওসমান গনি মণ্ডল শেষবারের মতো অফিস করেন। এরপর থেকে (৩০ জুলাই পর্যন্ত) পদটি শূন্য রয়েছে। এ অবস্থায় জমির দলিল রেজিস্ট্রি, নতুন দলিল উত্তোলন এবং নকল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে অফিসের কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন, আর সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে বিপাকে।
 
গাজীপুর পৌরসভার তেলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোসাম্মৎ রবিজা খাতুন বলেন, “গত সাত দিন ধরে রেজিস্ট্রির জন্য এখানে বারবার আসছি। আমার মতো অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে এখানে এসেছেন, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।”
 
দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান বাদল বলেন, “২৩ জুলাই সাব-রেজিস্ট্রার শেষবার অফিস করেন। এখন পর্যন্ত কেউ পদায়ন করা হয়নি। প্রতিদিন এখানে সাপকবলা, দানপত্র, হেবা মূলে ৪০-৫০টি দলিল রেজিস্ট্রি হতো। গত নয় দিনে তিনশ থেকে চারশ দলিলের রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।”
 
এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, “২৩ জুলাই সাব-রেজিস্ট্রার ওসমান গনির চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আরও এক বছরের জন্য চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করলেও চেম্বার জজ আদালত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এতে জটিলতা তৈরি হয়েছে।”
 
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মেজবাউদ্দিন বলেন, “আজ আট দিন যাবত রেজিস্ট্রার নেই। কবে নাগাদ নতুন সাব-রেজিস্ট্রার আসবেন তা অনিশ্চিত। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ই সঠিক তথ্য দিতে পারবে।”