শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে পণ্য সংখ্যা বাড়াতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

#
news image

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমাদের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বাড়াতে হবে, একই সঙ্গে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এজন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক রিলেশনস ডিভিশনের সাপোর্ট অব সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন প্রজেক্ট আয়োজিত ‘ন্যাশনাল সেমিনার অন এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। ওই সেমিনার দুটি সেশনে অনুষ্ঠিত হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেশগুলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু বড় বাজার রয়েছে আমাদের। আমাদের প্রতিবেশী ভারতেও আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। ভারত একটি বড় বাজার, সেখানেও রপ্তানি বাড়ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। একটি পণ্যের উপর রপ্তানি খাতকে ধরে রাখা ঠিক হবে না। আমাদের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বাড়াতে হবে, একই সঙ্গে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এজন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। ২০২৬ সালের আগেই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো চুক্তি স্বাক্ষর করে বাণিজ্য সুবিধা আদায় করার জন্য আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন বিধিবিধানের আলোকে বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। ২০৩০ সালের আগেই সফলভাবে এসডিজি অর্জন করে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যাবে, এজন্য নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেক প্রতিষ্ঠান সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী এগিয়ে এসেছে, দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করেছে। আমাদের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভবান হবেন।

সেমিনারে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। ওয়ার্কিং সেশন-১ এ বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এতে প্যানেলিস্ট আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন ডেলিগেশনের ডেপুটি হেড অফ মিশন ড. বার্ন্ড স্পেনিয়ার এবং র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।  

সেশন-২ এ বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয় সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এতে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ।

অনলাইন ডেস্ক

১৭ নভেম্বর, ২০২২,  10:31 PM

news image

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমাদের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বাড়াতে হবে, একই সঙ্গে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এজন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক রিলেশনস ডিভিশনের সাপোর্ট অব সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন প্রজেক্ট আয়োজিত ‘ন্যাশনাল সেমিনার অন এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। ওই সেমিনার দুটি সেশনে অনুষ্ঠিত হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেশগুলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু বড় বাজার রয়েছে আমাদের। আমাদের প্রতিবেশী ভারতেও আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। ভারত একটি বড় বাজার, সেখানেও রপ্তানি বাড়ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। একটি পণ্যের উপর রপ্তানি খাতকে ধরে রাখা ঠিক হবে না। আমাদের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বাড়াতে হবে, একই সঙ্গে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এজন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। ২০২৬ সালের আগেই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো চুক্তি স্বাক্ষর করে বাণিজ্য সুবিধা আদায় করার জন্য আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন বিধিবিধানের আলোকে বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। ২০৩০ সালের আগেই সফলভাবে এসডিজি অর্জন করে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যাবে, এজন্য নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেক প্রতিষ্ঠান সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী এগিয়ে এসেছে, দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করেছে। আমাদের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভবান হবেন।

সেমিনারে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। ওয়ার্কিং সেশন-১ এ বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এতে প্যানেলিস্ট আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন ডেলিগেশনের ডেপুটি হেড অফ মিশন ড. বার্ন্ড স্পেনিয়ার এবং র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।  

সেশন-২ এ বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয় সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এতে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ।