শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা

#
news image

চলতি নভেম্বরের প্রথম ১৮ দিনে প্রায় ১০৬ কোটি (১০৫ কোটি ৯৯ লাখ) ডলার বা এক দশমিক শূন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা হিসাবে এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি নভেম্বর মাসের পুরো সময়ে ১৭৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। আলোচিত মাসের প্রথম ১৮ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এসময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামি ব্যাংকের (২৭ কোটি ২২ লাখ ডলার) মাধ্যমে। এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে সাত কোটি ৩৬ লাখ ডলার, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডরার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি ৪২ লাখ এবং আল আরাফা ইসলামি ব্যাংকে মাধ্যমে পাঁচ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। তবে এসময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

চলতি মাস নভেম্বরের ৭ তারিখে রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয় রিজার্ভ থেকে। এর ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে হয় প্রায় তিন হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে নেমে আসে। গত রোববার পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। দেশে চলমান ডলার সংকট রয়েছে চরম আকারে। এ সংকটের মধ্যেই অর্থনীতির অন্যতম সূচক রেমিট্যান্স গতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুর দুই মাস জুলাই ও আগস্টে দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। এরপরে টানা দুই মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসে রেমিট্যান্স। চলতি নভেম্বরেও দুই বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছাতে পারবে না। এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থায় আসেনি রেমিট্যান্সের ধারা। যদিও বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার। অন্যদিকে, বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়াসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাছাড়া রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি প্রতিরোধের নতুন কৌশলে নিয়েছে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্সে পাঠানোয় জড়িতের অভিযোগে ২৩০ জন বেনিফিশিয়ারির হিসাব সাময়িকভাবে উত্তোলন স্থগিত করে আর্থিক সংস্থাটি। পরে বৈধপথের প্রতিশ্রুতিতে এসব হিসাবগুলো পুনরায় খুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়।

অনলাইন ডেস্ক

২১ নভেম্বর, ২০২২,  11:40 PM

news image

চলতি নভেম্বরের প্রথম ১৮ দিনে প্রায় ১০৬ কোটি (১০৫ কোটি ৯৯ লাখ) ডলার বা এক দশমিক শূন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা হিসাবে এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি নভেম্বর মাসের পুরো সময়ে ১৭৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। আলোচিত মাসের প্রথম ১৮ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এসময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামি ব্যাংকের (২৭ কোটি ২২ লাখ ডলার) মাধ্যমে। এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে সাত কোটি ৩৬ লাখ ডলার, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডরার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি ৪২ লাখ এবং আল আরাফা ইসলামি ব্যাংকে মাধ্যমে পাঁচ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। তবে এসময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

চলতি মাস নভেম্বরের ৭ তারিখে রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয় রিজার্ভ থেকে। এর ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে হয় প্রায় তিন হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে নেমে আসে। গত রোববার পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। দেশে চলমান ডলার সংকট রয়েছে চরম আকারে। এ সংকটের মধ্যেই অর্থনীতির অন্যতম সূচক রেমিট্যান্স গতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুর দুই মাস জুলাই ও আগস্টে দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। এরপরে টানা দুই মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসে রেমিট্যান্স। চলতি নভেম্বরেও দুই বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছাতে পারবে না। এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থায় আসেনি রেমিট্যান্সের ধারা। যদিও বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার। অন্যদিকে, বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়াসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাছাড়া রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি প্রতিরোধের নতুন কৌশলে নিয়েছে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্সে পাঠানোয় জড়িতের অভিযোগে ২৩০ জন বেনিফিশিয়ারির হিসাব সাময়িকভাবে উত্তোলন স্থগিত করে আর্থিক সংস্থাটি। পরে বৈধপথের প্রতিশ্রুতিতে এসব হিসাবগুলো পুনরায় খুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়।