শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

গোকুলামকে হারিয়ে বেঁচে রইল কিংসের আশা

#
news image

হিসেব পরিষ্কার-জিতলে টিকে থাকবে সম্ভাবনা, হারলে বিদায়। ভারতের আই লিগের চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা এফসিকে হারিয়ে সে সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখল বসুন্ধরা কিংস। 
গতকাল মঙ্গলবার কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে কেরালা ক্লাবটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। কিংসের হয়ে একটি করে গোল করেছেন রবসন রবিনিও ও নুহা মারং। 
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এএফসি কাপের পরবর্তী রাউন্ডের টিকিটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হতো কিংসকে। সেই কাজটি করে রাখল তারা। কিন্তু শুধু নিজেরা জিতলেই তো হবে না, এখন কিংসকে তাকিয়ে থাকতে হবে মোহনবাগান ও মাজিয়া স্পোর্টসের মধ্যে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে। 
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার সে ম্যাচে মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া হার এড়াতে পারলেই কিংস চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। তবে মোহনবাগান জয় পেলে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে কলকাতার ক্লাবটি।
মজার ব্যাপার হলো আগের ম্যাচে যে মোহনবাগানের কাছে ৪-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল কিংস, সে মোহনবাগানকেই ৪-২ গোলে হারিয়ে এসেছে গোকুলাম। অথচ কিংসের সামনে আজ বড় কোনো হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কেরালার ক্লাবটি। 
প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে গোকুলাম। কিন্তু বিশ্বনাথ ঘোষ-খালিদ শাফিইরা আজ বড় কোনো ভুল না করায় এতে কাজে আসেনি। 
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে জিততে হলে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না কিংসের। নিজেদের কাজটি ঠিকঠাক করে রাখতে ম্যাচের শুরু থেকে অলআউট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছেন রবসন, মিগেল ফিগুয়েরেরা। 
আগের ম্যাচের থেকে একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছিলেন কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোন। স্ট্রাইকার চিনেদু ম্যাথিউয়ের জায়গায় ফিরেছেন নুহা মারং, মাসুক মিয়ার জায়গায় বিপলু আহমেদ আর তারিক কাজীর পরিবর্তে মাহবুবুর রহমান। মাহবুবুরকে রাইট উইঙ্গার হিসেবে খেলিয়ে তারিকের জায়গায় রাইটব্যাকে খেলিয়েছেন রিমণ হোসেনকে।
আসলে কিংস দলের একাদশে কে এলেন, কে গেলেন-এটা খুব বড় প্রশ্ন নয়। খেলোয়াড় তালিকায় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসনের নামের দিকেই থাকে সমর্থকদের চোখ। কিংসের জেতা বিশেষ ভাবে নির্ভর করে রবসনের পারফরম্যান্সের ওপর। 
তিনি জ্বলে উঠতে পারলে সেদিন কিংসকে থামানো কষ্ট। আজ গোকুলাম সে কাজটি করতে পারেনি। রবসন গোল করেছেন, সঙ্গে করিয়েছেন আর কিংসও পেয়েছে জয়। 
স্বাভাবিকভাবে রবসনকে ঠেকানোর পরিকল্পনা ছিল গোকুলামের ইতালিয়ান কোচ ভিনসেনো আলবার্তোর। রবসনের পায়ে বল গেলে প্রতিপক্ষের একজন বল কেড়ে নিতে যাচ্ছিলেন, সঙ্গে আরেকজন থাকছিলেন সেই খেলোয়াড়কে সমর্থন দেওয়ার জন্য। ফুটবলের ভাষায় যাকে বলে ‘ডাবল ট্রিমিং’। এ পরিকল্পনাতে কয়েকবার সফলও হয়েছে ভারতের আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
তবে রবসন জানতেন, মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতার মঞ্চে আজ তাঁর জাত চেনানোর আপাত শেষ সুযোগ! ৩৬ মিনিটে দলকে স্বস্তি এনে দিলেন ট্রেডমার্ক গোলে। বাঁ প্রান্ত থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষ এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে কোনাকুনি বক্সে ঢুকলেন, কয়েকজন ডিফেন্ডার ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। 
এর মাঝ থেকেই ডান পায়ের বুলেট শটে বল জড়িয়ে দিলেন জালে। এর আগে ২৭ মিনিটে রবসনের বুলেট গতির শট ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে গোকুলাম গোলকিপার। 
দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় গোল, সেটাও রবসনের সৌজন্যে। ৫৪ মিনিটে ২-০ করেছেন গাম্বিয়া জাতীয় দলের স্ট্রাইকার নুহা মারং। বাঁ প্রান্ত থেকে রবসনের ক্রসে গোকুলামের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে ওঠে হেডে গোলটি করেন তিনি। মাজিয়ার বিপক্ষে নাহুর একমাত্র গোলেই জয় পেয়েছিল কিংস। 
২-০ গোলে এগিয়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক হওয়ার চেষ্টা ছিল কিংসের। বিপলুর জায়গায় ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাসুককে নামিয়ে রক্ষণভাগের ওপর চাপটা কমাতে চেয়েছিল কিংস। উল্টো ৭৫ মিনিটে গোল খায় তারা। 
গোকুলামের ব্যবধান কমিয়েছেন ফ্লেচার। তাহির জামানের ক্রসে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় থাকা অবস্থায় বলের নিয়ন্ত্রণ নেন, ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন জামাইকার এই স্ট্রাইকার। 
ম্যাচের শেষের দিকে ফ্রি-কিক থেকে তাঁর নেওয়া একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে না আসে। এতেই টিকে থাকে কিংসের পরের ম্যাচ দেখার আশা। সে ম্যাচে মোহনবাগান না জিতলেই এএফসি কাপের আন্তআঞ্চলিক পর্বে চলে যাবে কিংস।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২৫ মে, ২০২২,  12:37 AM

news image

হিসেব পরিষ্কার-জিতলে টিকে থাকবে সম্ভাবনা, হারলে বিদায়। ভারতের আই লিগের চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা এফসিকে হারিয়ে সে সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখল বসুন্ধরা কিংস। 
গতকাল মঙ্গলবার কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে কেরালা ক্লাবটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। কিংসের হয়ে একটি করে গোল করেছেন রবসন রবিনিও ও নুহা মারং। 
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এএফসি কাপের পরবর্তী রাউন্ডের টিকিটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হতো কিংসকে। সেই কাজটি করে রাখল তারা। কিন্তু শুধু নিজেরা জিতলেই তো হবে না, এখন কিংসকে তাকিয়ে থাকতে হবে মোহনবাগান ও মাজিয়া স্পোর্টসের মধ্যে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে। 
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার সে ম্যাচে মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া হার এড়াতে পারলেই কিংস চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। তবে মোহনবাগান জয় পেলে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে কলকাতার ক্লাবটি।
মজার ব্যাপার হলো আগের ম্যাচে যে মোহনবাগানের কাছে ৪-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল কিংস, সে মোহনবাগানকেই ৪-২ গোলে হারিয়ে এসেছে গোকুলাম। অথচ কিংসের সামনে আজ বড় কোনো হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কেরালার ক্লাবটি। 
প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে গোকুলাম। কিন্তু বিশ্বনাথ ঘোষ-খালিদ শাফিইরা আজ বড় কোনো ভুল না করায় এতে কাজে আসেনি। 
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে জিততে হলে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না কিংসের। নিজেদের কাজটি ঠিকঠাক করে রাখতে ম্যাচের শুরু থেকে অলআউট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছেন রবসন, মিগেল ফিগুয়েরেরা। 
আগের ম্যাচের থেকে একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছিলেন কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোন। স্ট্রাইকার চিনেদু ম্যাথিউয়ের জায়গায় ফিরেছেন নুহা মারং, মাসুক মিয়ার জায়গায় বিপলু আহমেদ আর তারিক কাজীর পরিবর্তে মাহবুবুর রহমান। মাহবুবুরকে রাইট উইঙ্গার হিসেবে খেলিয়ে তারিকের জায়গায় রাইটব্যাকে খেলিয়েছেন রিমণ হোসেনকে।
আসলে কিংস দলের একাদশে কে এলেন, কে গেলেন-এটা খুব বড় প্রশ্ন নয়। খেলোয়াড় তালিকায় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসনের নামের দিকেই থাকে সমর্থকদের চোখ। কিংসের জেতা বিশেষ ভাবে নির্ভর করে রবসনের পারফরম্যান্সের ওপর। 
তিনি জ্বলে উঠতে পারলে সেদিন কিংসকে থামানো কষ্ট। আজ গোকুলাম সে কাজটি করতে পারেনি। রবসন গোল করেছেন, সঙ্গে করিয়েছেন আর কিংসও পেয়েছে জয়। 
স্বাভাবিকভাবে রবসনকে ঠেকানোর পরিকল্পনা ছিল গোকুলামের ইতালিয়ান কোচ ভিনসেনো আলবার্তোর। রবসনের পায়ে বল গেলে প্রতিপক্ষের একজন বল কেড়ে নিতে যাচ্ছিলেন, সঙ্গে আরেকজন থাকছিলেন সেই খেলোয়াড়কে সমর্থন দেওয়ার জন্য। ফুটবলের ভাষায় যাকে বলে ‘ডাবল ট্রিমিং’। এ পরিকল্পনাতে কয়েকবার সফলও হয়েছে ভারতের আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
তবে রবসন জানতেন, মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতার মঞ্চে আজ তাঁর জাত চেনানোর আপাত শেষ সুযোগ! ৩৬ মিনিটে দলকে স্বস্তি এনে দিলেন ট্রেডমার্ক গোলে। বাঁ প্রান্ত থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষ এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে কোনাকুনি বক্সে ঢুকলেন, কয়েকজন ডিফেন্ডার ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। 
এর মাঝ থেকেই ডান পায়ের বুলেট শটে বল জড়িয়ে দিলেন জালে। এর আগে ২৭ মিনিটে রবসনের বুলেট গতির শট ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে গোকুলাম গোলকিপার। 
দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় গোল, সেটাও রবসনের সৌজন্যে। ৫৪ মিনিটে ২-০ করেছেন গাম্বিয়া জাতীয় দলের স্ট্রাইকার নুহা মারং। বাঁ প্রান্ত থেকে রবসনের ক্রসে গোকুলামের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে ওঠে হেডে গোলটি করেন তিনি। মাজিয়ার বিপক্ষে নাহুর একমাত্র গোলেই জয় পেয়েছিল কিংস। 
২-০ গোলে এগিয়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক হওয়ার চেষ্টা ছিল কিংসের। বিপলুর জায়গায় ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাসুককে নামিয়ে রক্ষণভাগের ওপর চাপটা কমাতে চেয়েছিল কিংস। উল্টো ৭৫ মিনিটে গোল খায় তারা। 
গোকুলামের ব্যবধান কমিয়েছেন ফ্লেচার। তাহির জামানের ক্রসে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় থাকা অবস্থায় বলের নিয়ন্ত্রণ নেন, ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন জামাইকার এই স্ট্রাইকার। 
ম্যাচের শেষের দিকে ফ্রি-কিক থেকে তাঁর নেওয়া একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে না আসে। এতেই টিকে থাকে কিংসের পরের ম্যাচ দেখার আশা। সে ম্যাচে মোহনবাগান না জিতলেই এএফসি কাপের আন্তআঞ্চলিক পর্বে চলে যাবে কিংস।