ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে সাব রেজিস্ট্রার গনি শত শত কোটি টাকার মালিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ আগস্ট, ২০২৫, 1:45 PM
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে সাব রেজিস্ট্রার গনি শত শত কোটি টাকার মালিক
মাত্র ৫ বছর বয়সে মুজিব নগরের সনদে মুক্তিযোদ্ধা হন ওসমান গনি মন্ডল। আর ওই সনদে তিনি ২০০৯ সালে সাব-রেজিস্ট্রারের চাকুরিতে যোগদানও করেন। মাত্র ১৫ বছর চাকুরি করেই তিনি, তার স্ত্রী, সন্তানসহ নিকট জনেরা অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিলাসী জীবন যাপন করা ওসমান গনি রংপুর, কুড়িগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আলীশান বাড়ী নির্মাণ সহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জমি-জিরেত সবমিলিয়ে প্রায় ২'শ কোটি টাকার মালিক তিনি। সম্প্রতি তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে কাপাসিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বদলী হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ কুড়িগ্রামের মাহবুবুর রহমান স্বপন নামে এক ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গনি চাকুরী জীবনে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে যা ইচ্ছে, তাই করেছেন। চলতি বছরেই তিনি অবসরে যাবেন। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৬ সালের ২৪ জুলাই কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলায় জন্ম নেন ওসমান গনি। মাত্র ৫ বছর বয়সেই তিনি মুজিবনগরের কর্মচারী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরি করেন। এরপর থেকেই তিনি কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় পোস্টিং নিয়েছেন। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার, নাটোরের গুরুদাসপুর, কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, নরসিংদীর মনোহরদী, বগুড়া সদর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চাকরী করেছেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় চাকরী করছেন। উল্লেখিত উপজেলাগুলোতে দলিল লেখক, জমি ক্রেতা-বিক্রেতা এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাব রেজিস্ট্রারর ওসমান গণি ঘুষের রামরাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তারা আরও জানান, ওসমান গণি জমি ক্রেতা, বিক্রেতা উভয়ের কাছেই টাকা নেন। এছাড়াও ঘুষ নিয়ে সরকারি খাস জমি রেজিস্ট্রি ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সুত্র জানিয়েছে, ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক আইন মন্ত্রীর রাজনৈতিক এপিএস বাবু মিয়া ও আইন মন্ত্রণালয়ের জনৈক্য কর্তা ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে তিনি ২০২২ সালে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে বদলি হয়ে আসেন। শ্রীপুরে শিল্প-কারখানা বেশি হওয়ায় দলিলে ব্যাপক ঘাপলা করেছেন। যে কারণে ওসমান গনি চাকুরী জীবনের শেষ সময়ে কয়েক কোটি টাকায় কাপাসিয়া উপজেলায় বদলী নিয়েছেন। ২৩ জুলাই তিনি এলপিআর-এ যান। যাওয়ার আগে তিনি দু হাতে সেবা গ্রহিতাদের জিম্মি করে ঘুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির অসাধু দলিল লেখকের সহযোগিতায় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে সরকারী বন বিভাগের জমিও ব্যক্তি মালিকানায় রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। এর আগে ঢাকার কেরানিগঞ্জ মডেল সাব রেজিষ্ট্রার হিসেবে বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানীর নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল সম্পাদন করতেন। এছাড়াও দলিলের শ্রেণি পরিবর্তন করে মিলিনিয়াম সিটি হাউজিং কোম্পানীর মালিক তাজুল ইসলামের কাছ থেকে কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আছে। সেইসাথে হিন্দুদের পূজা মন্ডপের জায়গা সংক্রান্ত মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান থাকা সত্ত্বেও মন্ডপের জমিও রেজিস্ট্রি করেছেন। ওসমান গনির অবৈধ সম্পদের খোঁজে রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং ঢাকায় অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকার উত্তরার ১২নং সেক্টরের ১৩নং রোডে ৫ কাঠা জমিতে ৬ তলা বাড়ী নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও রংপুর শহরের কেরানীপাড়ায় স্বপ্নচূড়া স্কুলের উত্তর পাশে ৫ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন, কুড়িগ্রামে ডুপ্লেক্স মডেলের ২য় তলা একটি বাড়ীও করেছেন। রংপুরের ভবনটিতে বেশকিছু সিসি ক্যামেরা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু বাড়ীটিতে নেমপ্লেট কিংবা সিটি কর্পোরেশনের থেকে দেয়া বাড়ীর নম্বর নেই। তবে ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সাটানো রয়েছে। তার স্ত্রী মোসাম্মৎ আজিজা সুলতানা বেগমের নামেও অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে। ওসমান গনি তার এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে দেশের বাইরেও টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় দুই'শ কোটি টাকা। দুদক খতিয়ে দেখলে তার অঢেল সম্পদের খোঁজ মিলতে পারে। তার বিরুদ্ধে দুদক, আইন সচিব, আই.জি.আর সহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ থাকলেও অভিযোগগুলোর
তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। ওসমান গনির কারণে কোটি টাকার ক্ষতির শিকার কুড়িগ্রামের মাহবুবুর রহমান স্বপন নামের এক ব্যক্তি দূর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ঘুষের অভিযোগ করেছেন। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দাপুটে এই সাব রেজিস্ট্রার ৫ই আগষ্টের পর খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির সক্রিয় কর্মী সেজেছেন। অথচ আওয়ামা আওয়ামী সরকারের আমলে তার আপন ভাইকে কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে দাঁড় করানোর জন্য তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার অফিস শেষে বিমানে চড়ে রংপুরে চলে যেতেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাপাসিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক কর্মচারী বলেন, ওসমান গনি স্যার যোগদানের পরই দলিল লেখক, নকল নবীশ, উমেদারসহ সকলকে জানিয়েছেন যে, তার চাকরির মেয়াদ বেশি দিন নাই। ফলে প্রতি দলিলের গোপন খরচ আরও দুই হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দিতে হবে। অভিযোগের ব্যাপারে সাব রেজিষ্ট্রার ওসমান গণির মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ আগস্ট, ২০২৫, 1:45 PM
মাত্র ৫ বছর বয়সে মুজিব নগরের সনদে মুক্তিযোদ্ধা হন ওসমান গনি মন্ডল। আর ওই সনদে তিনি ২০০৯ সালে সাব-রেজিস্ট্রারের চাকুরিতে যোগদানও করেন। মাত্র ১৫ বছর চাকুরি করেই তিনি, তার স্ত্রী, সন্তানসহ নিকট জনেরা অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিলাসী জীবন যাপন করা ওসমান গনি রংপুর, কুড়িগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আলীশান বাড়ী নির্মাণ সহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জমি-জিরেত সবমিলিয়ে প্রায় ২'শ কোটি টাকার মালিক তিনি। সম্প্রতি তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে কাপাসিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বদলী হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ কুড়িগ্রামের মাহবুবুর রহমান স্বপন নামে এক ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গনি চাকুরী জীবনে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে যা ইচ্ছে, তাই করেছেন। চলতি বছরেই তিনি অবসরে যাবেন। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৬ সালের ২৪ জুলাই কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলায় জন্ম নেন ওসমান গনি। মাত্র ৫ বছর বয়সেই তিনি মুজিবনগরের কর্মচারী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরি করেন। এরপর থেকেই তিনি কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় পোস্টিং নিয়েছেন। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার, নাটোরের গুরুদাসপুর, কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, নরসিংদীর মনোহরদী, বগুড়া সদর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চাকরী করেছেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় চাকরী করছেন। উল্লেখিত উপজেলাগুলোতে দলিল লেখক, জমি ক্রেতা-বিক্রেতা এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাব রেজিস্ট্রারর ওসমান গণি ঘুষের রামরাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তারা আরও জানান, ওসমান গণি জমি ক্রেতা, বিক্রেতা উভয়ের কাছেই টাকা নেন। এছাড়াও ঘুষ নিয়ে সরকারি খাস জমি রেজিস্ট্রি ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সুত্র জানিয়েছে, ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক আইন মন্ত্রীর রাজনৈতিক এপিএস বাবু মিয়া ও আইন মন্ত্রণালয়ের জনৈক্য কর্তা ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে তিনি ২০২২ সালে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে বদলি হয়ে আসেন। শ্রীপুরে শিল্প-কারখানা বেশি হওয়ায় দলিলে ব্যাপক ঘাপলা করেছেন। যে কারণে ওসমান গনি চাকুরী জীবনের শেষ সময়ে কয়েক কোটি টাকায় কাপাসিয়া উপজেলায় বদলী নিয়েছেন। ২৩ জুলাই তিনি এলপিআর-এ যান। যাওয়ার আগে তিনি দু হাতে সেবা গ্রহিতাদের জিম্মি করে ঘুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির অসাধু দলিল লেখকের সহযোগিতায় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে সরকারী বন বিভাগের জমিও ব্যক্তি মালিকানায় রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। এর আগে ঢাকার কেরানিগঞ্জ মডেল সাব রেজিষ্ট্রার হিসেবে বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানীর নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল সম্পাদন করতেন। এছাড়াও দলিলের শ্রেণি পরিবর্তন করে মিলিনিয়াম সিটি হাউজিং কোম্পানীর মালিক তাজুল ইসলামের কাছ থেকে কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আছে। সেইসাথে হিন্দুদের পূজা মন্ডপের জায়গা সংক্রান্ত মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান থাকা সত্ত্বেও মন্ডপের জমিও রেজিস্ট্রি করেছেন। ওসমান গনির অবৈধ সম্পদের খোঁজে রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং ঢাকায় অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকার উত্তরার ১২নং সেক্টরের ১৩নং রোডে ৫ কাঠা জমিতে ৬ তলা বাড়ী নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও রংপুর শহরের কেরানীপাড়ায় স্বপ্নচূড়া স্কুলের উত্তর পাশে ৫ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন, কুড়িগ্রামে ডুপ্লেক্স মডেলের ২য় তলা একটি বাড়ীও করেছেন। রংপুরের ভবনটিতে বেশকিছু সিসি ক্যামেরা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু বাড়ীটিতে নেমপ্লেট কিংবা সিটি কর্পোরেশনের থেকে দেয়া বাড়ীর নম্বর নেই। তবে ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সাটানো রয়েছে। তার স্ত্রী মোসাম্মৎ আজিজা সুলতানা বেগমের নামেও অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে। ওসমান গনি তার এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে দেশের বাইরেও টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় দুই'শ কোটি টাকা। দুদক খতিয়ে দেখলে তার অঢেল সম্পদের খোঁজ মিলতে পারে। তার বিরুদ্ধে দুদক, আইন সচিব, আই.জি.আর সহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ থাকলেও অভিযোগগুলোর
তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। ওসমান গনির কারণে কোটি টাকার ক্ষতির শিকার কুড়িগ্রামের মাহবুবুর রহমান স্বপন নামের এক ব্যক্তি দূর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ঘুষের অভিযোগ করেছেন। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দাপুটে এই সাব রেজিস্ট্রার ৫ই আগষ্টের পর খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির সক্রিয় কর্মী সেজেছেন। অথচ আওয়ামা আওয়ামী সরকারের আমলে তার আপন ভাইকে কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে দাঁড় করানোর জন্য তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার অফিস শেষে বিমানে চড়ে রংপুরে চলে যেতেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাপাসিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক কর্মচারী বলেন, ওসমান গনি স্যার যোগদানের পরই দলিল লেখক, নকল নবীশ, উমেদারসহ সকলকে জানিয়েছেন যে, তার চাকরির মেয়াদ বেশি দিন নাই। ফলে প্রতি দলিলের গোপন খরচ আরও দুই হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দিতে হবে। অভিযোগের ব্যাপারে সাব রেজিষ্ট্রার ওসমান গণির মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।