শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

জনগণকে ধূমপান ও তামাকের নেশামুক্ত রাখতে সবাইকে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে : রাষ্ট্রপতি

#
news image

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, জনগণ ও তরুণ প্রজন্মকে  ধূমপান এবং তামাকের ভয়াল নেশা থেকে সরিয়ে আনতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে  সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে।
আগামীকাল ৩১ মে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। 
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে 
রাষ্ট্রপতি বলেন, ধূমপান ও তামাক সেবন প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। পরিবেশের ওপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব আরো ব্যাপক। তামাকজনিত কারণে পরিবেশ ধ্বংসের বিষয়টি তুলে ধরে এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তামাকমুক্ত পরিবেশ, সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ অত্যনÍ  যথার্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। 
তিনি বলেন, কৃষি জমিতে তামাক চাষ ও কাঁচা তামাক পাতা চুল্লিতে আগুনের তাপে শুকানো, কারখানায় বিভিন্ন তামাকজাত পণ্য উৎপাদন এবং সবশেষে ধুমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্য সেবন পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জলবায়ুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তামাক পাতা চুল্লিতে শুকানো ও সিগারেট তৈরির জন্য বনজ সম্পদ ধ্বংস হয় এবং চুল্লির আশপাশের বায়ু মারাত্মক দূষিত হয়। বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত। তামাক সেবন ও ধূমপানের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ধূমপানকে বলা হয় মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। তামাক সেবন ও ধূমপানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই তামাক ও ধূমপান বর্জন সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার জনস্বাস্থ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ এর সংশোধন এবং ২০১৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা’ প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। জনগণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান ও তামাকের ভয়াল নেশা থেকে সরিয়ে আনতে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমকে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি তামাকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো এ প্রত্যাশা করি।

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ মে, ২০২২,  9:22 PM

news image

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, জনগণ ও তরুণ প্রজন্মকে  ধূমপান এবং তামাকের ভয়াল নেশা থেকে সরিয়ে আনতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে  সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে।
আগামীকাল ৩১ মে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। 
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে 
রাষ্ট্রপতি বলেন, ধূমপান ও তামাক সেবন প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। পরিবেশের ওপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব আরো ব্যাপক। তামাকজনিত কারণে পরিবেশ ধ্বংসের বিষয়টি তুলে ধরে এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তামাকমুক্ত পরিবেশ, সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ অত্যনÍ  যথার্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। 
তিনি বলেন, কৃষি জমিতে তামাক চাষ ও কাঁচা তামাক পাতা চুল্লিতে আগুনের তাপে শুকানো, কারখানায় বিভিন্ন তামাকজাত পণ্য উৎপাদন এবং সবশেষে ধুমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্য সেবন পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জলবায়ুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তামাক পাতা চুল্লিতে শুকানো ও সিগারেট তৈরির জন্য বনজ সম্পদ ধ্বংস হয় এবং চুল্লির আশপাশের বায়ু মারাত্মক দূষিত হয়। বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত। তামাক সেবন ও ধূমপানের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ধূমপানকে বলা হয় মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। তামাক সেবন ও ধূমপানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই তামাক ও ধূমপান বর্জন সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার জনস্বাস্থ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ এর সংশোধন এবং ২০১৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা’ প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। জনগণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান ও তামাকের ভয়াল নেশা থেকে সরিয়ে আনতে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমকে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি তামাকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো এ প্রত্যাশা করি।