শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

খুচরা ও পাইকারি বিক্রিতে কমতে পারে ভ্যাট

#
news image

আসছে অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের খুচরা ও পাইকারি বিক্রিতে ভ্যাট কমানো হতে পারে। বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় তা প্রশমনে সরকার এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এনবিআর সূত্র জানায়, দেশের প্রায় ৪০ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর বিক্রির ওপর বর্তমানে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে। এ হার কমিয়ে দেড় থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে। কারণ, এসব খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায় তুলনামূলক কম পরিমাণে মূল্য সংযোজন হয়। কিন্তু ভ্যাট থাকার কারণে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। পাশাপাশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁর বিক্রির ওপর ভ্যাট হারও কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে এ ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। এনবিআর এ হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করতে পারে। এদিকে কিছু পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। বিশেষ করে কর অবকাশ সুবিধা পায় এমন কিছু শিল্প খাতে উৎপাদন পর্যায়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট আরোপ করা হতে পারে। এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা  বলেন, সব ধরনের পণ্যের মূল্য বেড়েছে। এ অবস্থায় পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রিতে ভ্যাট কমানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভোগ্যপণ্যে এ ভ্যাট ১ দশমিক ৫ শতাংশ আর অন্যান্য পণ্যে ২ শতাংশ করা হতে পারে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া বাকি সব পণ্যেই ভ্যাট আছে। রড, সিমেন্ট, লোহা বা ইস্পাত, রাসায়নিকসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী, ফল, মসলা, কাপড়, পোশাক পরিচ্ছদের পাইকারি ব্যবসা থেকে ভাট আদায় করা হয়। আবার এসব পণ্য খুচরাও বিক্রি হয়। যেসব পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের বার্ষিক বিক্রি ৫০ লাখ টাকার ওপরে তাঁদের ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। তবে খুচরা বিক্রি পর্যায়ে বিশেষ ভ্যাট আদায় সম্ভব হয় না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটের আগেই সরকার কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় দিয়েছে। সয়াবিন ও পাম অয়েলের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ, উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ও বিক্রি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সরকার জনস্বার্থে সয়াবিন ও পাম অয়েলের খুচরা বিক্রি ও উৎপাদন পর্যায়ে থাকা ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে থাকা ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে চাল আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক্ক প্রত্যাহার করা হয়। রাজস্ব সংগ্রহের বড় অংশই আসে ভ্যাট থেকে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআরের মোট রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা ভ্যাট থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে সংগ্রহ হয়েছে ৭৫ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলালউদ্দিন  বলেন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট কমালে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়েই উপকৃত হবেন। তবে সরকার পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যে পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় করে তার পরিবর্তন দরকার। উৎস পর্যায় থেকে সংগ্রহ করলে এনবিআর লাভবান হবে। এতে মোট রাজস্ব আদায় বাড়বে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ মে, ২০২২,  11:22 PM

news image

আসছে অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের খুচরা ও পাইকারি বিক্রিতে ভ্যাট কমানো হতে পারে। বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় তা প্রশমনে সরকার এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এনবিআর সূত্র জানায়, দেশের প্রায় ৪০ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর বিক্রির ওপর বর্তমানে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে। এ হার কমিয়ে দেড় থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে। কারণ, এসব খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায় তুলনামূলক কম পরিমাণে মূল্য সংযোজন হয়। কিন্তু ভ্যাট থাকার কারণে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। পাশাপাশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁর বিক্রির ওপর ভ্যাট হারও কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে এ ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। এনবিআর এ হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করতে পারে। এদিকে কিছু পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। বিশেষ করে কর অবকাশ সুবিধা পায় এমন কিছু শিল্প খাতে উৎপাদন পর্যায়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট আরোপ করা হতে পারে। এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা  বলেন, সব ধরনের পণ্যের মূল্য বেড়েছে। এ অবস্থায় পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রিতে ভ্যাট কমানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভোগ্যপণ্যে এ ভ্যাট ১ দশমিক ৫ শতাংশ আর অন্যান্য পণ্যে ২ শতাংশ করা হতে পারে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া বাকি সব পণ্যেই ভ্যাট আছে। রড, সিমেন্ট, লোহা বা ইস্পাত, রাসায়নিকসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী, ফল, মসলা, কাপড়, পোশাক পরিচ্ছদের পাইকারি ব্যবসা থেকে ভাট আদায় করা হয়। আবার এসব পণ্য খুচরাও বিক্রি হয়। যেসব পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের বার্ষিক বিক্রি ৫০ লাখ টাকার ওপরে তাঁদের ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। তবে খুচরা বিক্রি পর্যায়ে বিশেষ ভ্যাট আদায় সম্ভব হয় না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটের আগেই সরকার কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় দিয়েছে। সয়াবিন ও পাম অয়েলের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ, উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ও বিক্রি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সরকার জনস্বার্থে সয়াবিন ও পাম অয়েলের খুচরা বিক্রি ও উৎপাদন পর্যায়ে থাকা ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে থাকা ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে চাল আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক্ক প্রত্যাহার করা হয়। রাজস্ব সংগ্রহের বড় অংশই আসে ভ্যাট থেকে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআরের মোট রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা ভ্যাট থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে সংগ্রহ হয়েছে ৭৫ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলালউদ্দিন  বলেন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট কমালে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়েই উপকৃত হবেন। তবে সরকার পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যে পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় করে তার পরিবর্তন দরকার। উৎস পর্যায় থেকে সংগ্রহ করলে এনবিআর লাভবান হবে। এতে মোট রাজস্ব আদায় বাড়বে।