শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

আর্থ্রাইটিসজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে

#
news image

আর্থ্রাইটিস মূলত প্রদাহজনিত রোগ। এই আর্থ্রাইটিস হাড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে এটাকে বলে অস্টিও আর্থ্রাইটিস এবং যদি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে এটাকে বলে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস। আর্থ্রাইটিস রোগে মূল সমস্যা হচ্ছে ব্যথা।
কারণ
আর্থাইটিসের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।
তবে গবেষণায় একটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আর্থ্রাইটিস মূলত আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধকারী ব্যবস্থার একটি ত্রুটি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আর্থ্রাইটিস রোগ পারিবারিক সূত্রে বা জিনগতভাবে হতে পারে। 
লক্ষণ
আর্থ্রাইটিস নিশ্চিত হওয়ার জন্য শারীরিক কিছু লক্ষণ দেখা হয় এবং বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রক্তের কিছু পরীক্ষা যেমন : এক্স-রে ও এমআরআই। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
করণীয়
আর্থ্রাইটিস রোগের চিকিৎসা পদ্ধতিতে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ওষুধের মাধ্যমে ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা। দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। পরিপূর্ণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি একই সঙ্গে অনুসরণ করা হয়। এই দুটি ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইন্টারভেনশন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যথা কমিয়ে ভালো থাকা সম্ভব। তবে অবশ্যই চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আর্থ্রাইটিস রোগ হয়েছে কি না।
ওষুধ ছাড়া আর্থ্রাইটিস থেকে ভালো থাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায়Ñ
♦ ফল, সবজি, ফাইবার জাতীয় খাবার ও শস্য জাতীয় খাবার বেশি লাল মাংস, ফাস্ট ফুড, প্রসেস ফুড, চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার আর্থ্রাইটিস বাড়িয়ে দিতে পারে।
♦ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
♦ নিয়মিত শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যায়াম করা এবং সচল রাখা।
♦ অন্যান্য রোগ থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।
♦ ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য আকুপাংচার, ম্যাসাজ থেরাপিÑএ পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মো. আহাদ হোসেন চিফ কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, ঢাকা।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

৩১ মে, ২০২২,  9:38 PM

news image

আর্থ্রাইটিস মূলত প্রদাহজনিত রোগ। এই আর্থ্রাইটিস হাড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে এটাকে বলে অস্টিও আর্থ্রাইটিস এবং যদি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে এটাকে বলে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস। আর্থ্রাইটিস রোগে মূল সমস্যা হচ্ছে ব্যথা।
কারণ
আর্থাইটিসের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।
তবে গবেষণায় একটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আর্থ্রাইটিস মূলত আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধকারী ব্যবস্থার একটি ত্রুটি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আর্থ্রাইটিস রোগ পারিবারিক সূত্রে বা জিনগতভাবে হতে পারে। 
লক্ষণ
আর্থ্রাইটিস নিশ্চিত হওয়ার জন্য শারীরিক কিছু লক্ষণ দেখা হয় এবং বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রক্তের কিছু পরীক্ষা যেমন : এক্স-রে ও এমআরআই। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
করণীয়
আর্থ্রাইটিস রোগের চিকিৎসা পদ্ধতিতে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ওষুধের মাধ্যমে ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা। দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। পরিপূর্ণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি একই সঙ্গে অনুসরণ করা হয়। এই দুটি ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইন্টারভেনশন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যথা কমিয়ে ভালো থাকা সম্ভব। তবে অবশ্যই চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আর্থ্রাইটিস রোগ হয়েছে কি না।
ওষুধ ছাড়া আর্থ্রাইটিস থেকে ভালো থাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায়Ñ
♦ ফল, সবজি, ফাইবার জাতীয় খাবার ও শস্য জাতীয় খাবার বেশি লাল মাংস, ফাস্ট ফুড, প্রসেস ফুড, চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার আর্থ্রাইটিস বাড়িয়ে দিতে পারে।
♦ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
♦ নিয়মিত শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যায়াম করা এবং সচল রাখা।
♦ অন্যান্য রোগ থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।
♦ ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য আকুপাংচার, ম্যাসাজ থেরাপিÑএ পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মো. আহাদ হোসেন চিফ কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, ঢাকা।