হাঙ্গেরির কাছে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড, ইতালিকে গোলবন্যায় ভাসাল জার্মানি

প্রভাতী খবর ডেস্ক
১৬ জুন, ২০২২, 12:01 AM
হাঙ্গেরির কাছে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড, ইতালিকে গোলবন্যায় ভাসাল জার্মানি
সময়টা ভালো কাটছে না ইতালির। আর্জেন্টিনার কাছে ফাইনালিসিমা হারের পর একের পর এক হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাদের। উয়েফা নেশনস লিগে এসেও তিন ম্যাচে মাত্র একটি জয় দেখে রবার্তো মানচিনির দল।
এবার তারা খেলো আরও বড় ধাক্কা। নিজেদের হারিয়ে ফেলা জার্মানিই এবার ইতালিকে পেয়ে জ্বলে উঠলো তেলেবেগুনে। গুনে গুনে দিলো ৫ গোল। মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ বরুশিয়া পার্কে আজ্জুরিদের ৫-২ গোলে হারায় চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এদিকে নেশন্স লিগের এবারের আসরে ইংল্যান্ডের দুর্দশা চলছেই। আবারও তারা হেরে গেছে হাঙ্গেরির বিপক্ষে। টানা দুই ম্যাচে ড্রয়ের পর হাঙ্গেরির বিপক্ষে এক হালি গোল হজম করল গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। ১৯২৮ সালের পর ঘরের মাঠে তাদের সবচেয়ে বড় হার এটি। নেশন্স লিগে চার ম্যাচ খেলে জয়শূন্যই রইল ইংল্যান্ড। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম টানা চার ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল না ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
মলিনিউ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৬তম মিনিটে হাঙ্গেরিকে এগিয়ে নেন রোলান্দ সাল্লাই। ৭০ মিনিটে তার দারুণ ফিনিশিংয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় হাঙ্গেরি। শেষ ১০ মিনিটে ইংল্যান্ড আরও বাজে পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। ৮০ মিনিটে ন্যাগি জাল খুঁজে নেয়ার পর ৮৯তম মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন ড্যানিয়েল গ্যাজডেগ।
গত ৬৯ বছরের মধ্যে ঘরের বাইরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয় হাঙ্গেরির। সর্বশেষ জয়টি ছিল ১৯৫৩ সালে। সব মিলিয়ে দুই দলের ২৬ বারের দেখায় হাঙ্গেরির জয় ৭টি, ইংল্যান্ডের জয় ১৬টিতে, ৩টি ম্যাচ ড্র হয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই ইতালিকে চেপে ধরে জার্মানি দশম মিনিটেই এগিয়ে যায়। ডেভিড গাউমের ক্রসে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দলকে লিড এনে দেন কিমিখ। বিরতির ঠিক আগে ইতালির ডি-বক্সে ইয়োনাস হফমান ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় জার্মানি। ইলকাই গুন্দোগানের সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়ায় জার্মানি। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিটের মাথায় দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন টমাস মুলার। পরপর দুই মিনিটের মাথায় (৬৮ ও ৬৯তম মিনিট) ইতালির জালে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন ভেরনার। এই দুই আঘাতে একেবারেই জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইতালির। স্কোরলাইনে তখন ব্যবধান ৫-০।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইতালি হাল তখনও ছাড়েনি। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ম্যানুয়েল নয়্যারকে ফাঁকি দিয়ে ইয়োন্তো ব্যবধান কমান। আর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন বাস্তোনি।
প্রভাতী খবর ডেস্ক
১৬ জুন, ২০২২, 12:01 AM
সময়টা ভালো কাটছে না ইতালির। আর্জেন্টিনার কাছে ফাইনালিসিমা হারের পর একের পর এক হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাদের। উয়েফা নেশনস লিগে এসেও তিন ম্যাচে মাত্র একটি জয় দেখে রবার্তো মানচিনির দল।
এবার তারা খেলো আরও বড় ধাক্কা। নিজেদের হারিয়ে ফেলা জার্মানিই এবার ইতালিকে পেয়ে জ্বলে উঠলো তেলেবেগুনে। গুনে গুনে দিলো ৫ গোল। মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ বরুশিয়া পার্কে আজ্জুরিদের ৫-২ গোলে হারায় চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এদিকে নেশন্স লিগের এবারের আসরে ইংল্যান্ডের দুর্দশা চলছেই। আবারও তারা হেরে গেছে হাঙ্গেরির বিপক্ষে। টানা দুই ম্যাচে ড্রয়ের পর হাঙ্গেরির বিপক্ষে এক হালি গোল হজম করল গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। ১৯২৮ সালের পর ঘরের মাঠে তাদের সবচেয়ে বড় হার এটি। নেশন্স লিগে চার ম্যাচ খেলে জয়শূন্যই রইল ইংল্যান্ড। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম টানা চার ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল না ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
মলিনিউ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৬তম মিনিটে হাঙ্গেরিকে এগিয়ে নেন রোলান্দ সাল্লাই। ৭০ মিনিটে তার দারুণ ফিনিশিংয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় হাঙ্গেরি। শেষ ১০ মিনিটে ইংল্যান্ড আরও বাজে পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। ৮০ মিনিটে ন্যাগি জাল খুঁজে নেয়ার পর ৮৯তম মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন ড্যানিয়েল গ্যাজডেগ।
গত ৬৯ বছরের মধ্যে ঘরের বাইরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয় হাঙ্গেরির। সর্বশেষ জয়টি ছিল ১৯৫৩ সালে। সব মিলিয়ে দুই দলের ২৬ বারের দেখায় হাঙ্গেরির জয় ৭টি, ইংল্যান্ডের জয় ১৬টিতে, ৩টি ম্যাচ ড্র হয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই ইতালিকে চেপে ধরে জার্মানি দশম মিনিটেই এগিয়ে যায়। ডেভিড গাউমের ক্রসে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দলকে লিড এনে দেন কিমিখ। বিরতির ঠিক আগে ইতালির ডি-বক্সে ইয়োনাস হফমান ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় জার্মানি। ইলকাই গুন্দোগানের সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়ায় জার্মানি। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিটের মাথায় দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন টমাস মুলার। পরপর দুই মিনিটের মাথায় (৬৮ ও ৬৯তম মিনিট) ইতালির জালে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন ভেরনার। এই দুই আঘাতে একেবারেই জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইতালির। স্কোরলাইনে তখন ব্যবধান ৫-০।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইতালি হাল তখনও ছাড়েনি। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ম্যানুয়েল নয়্যারকে ফাঁকি দিয়ে ইয়োন্তো ব্যবধান কমান। আর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন বাস্তোনি।