শিরোনামঃ
কাস্টমসের দুই সিপাইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ, দুদকে আবেদন রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট মায়ের হাতে ৬ মাসের কন্যা শিশু খুন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা হরিলুট ঢাকার সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেপ্তার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ চট্টগ্রামে চেক প্রতারণার অভিযোগে সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর পরিবেশক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

'সব সময় তোমাদের পাশে আছি, যখন যা লাগে আমি দেবো' নারী ফুটবলারদের প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী

#
news image

সিনিয়র পর্যায়ে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স অনেকটা মলিন হলেও অনূর্ধ্ব বিভিন্ন বয়স পর্যায়ের মেয়েরা বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলছে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মারিয়া মান্ডার দল।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এটিই ছিল সেরা অর্জন। এর প্রেক্ষিতেই বয়সভিত্তিক এই নারী দলকে গতকাল রোববার নিজ কার্যালয়ে সংবর্ধনা ও অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাফজয়ী নারী দলের ২৩ সদস্য পেয়েছে ৫ লাখ অর্থ পুরস্কার।
নারী দলের পাশাপাশি সংবর্ধনা পেয়েছেন জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল'ও। ২০২০ সালে ঢাকায় মুজিব বর্ষ আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজে নেপালকে হারায় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নেয় জামাল ভুঁইয়ারা। প্রথম ম্যাচ ২-০ গোলে জিতে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ হয় গোল শূন্য ড্র। এই সিরিজ জয়ের ফলে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে সেই সিরিজের চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকা ২৫ ফুটবলার পেয়েছেন ৫ লাখ অর্থ পুরস্কার।
এছাড়া সংবর্ধনা ও অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের ১৮ জন খেলোয়াড়। পুরুষ ফুটবল দলের কোচ-কর্মকর্তা আটজন, নারী ফুটবল দলের কোচ কর্মকর্তা ১০ জন এবং ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের চারজন কর্মকর্তাকে ২ লাখ টাকা করে উপহার দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এই পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত ফুটবলাররা। সামনে আরও ভাল করার প্রত্যয় শুনিয়েছেন নারী দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আঁখি খাতুন,'এই পুরস্কার আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। সামনের ম্যাচগুলোতে আমরা যেনো আরও ভাল করতে পারি সেই পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ' জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড সুমন রেজা বলেন,'অবশ্যই এই পুরস্কার আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে। '
সিনিয়র পর্যায়ে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স অনেকটা মলিন হলেও বিভিন্ন বয়স পর্যায়ের মেয়েরা বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলছে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মারিয়া মান্ডার দল।
৮৮ জনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পাঁচজনকে ডেকে হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন।
তিনটি দলকে সংবর্ধনা দিয়ে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে হবে। যখন খেলতে নামবে তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা নিয়ে নামবে। আমি সব সময় তোমাদের পাশে আছি। তোমাদের যখন যা লাগে আমি দেবো। ’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলও ভালো করছে। ওরা ওয়ানডে স্ট্যাটাস অর্জন করেছে। এটা অনেক বড় অর্জন বলে আমি মনে করি। তবে ফুটবল খেলাটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এ জন্য আমরা আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছি। ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা ও মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলা আরও বেশি জনপ্রিয় করে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এখনকার ছেলেমেয়েরা ডাংগুলি, হাডুডু তো ভুলতে বসেছে। এসব খেলা তারা খেলেনি। আমরা খেলেছি। ডাংগুলিটা ভালো খেললে বেসবলটাও ভালো খেলতে পারবে।
প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কথাও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি জেলা-উপজেলায় যাতে খেলা ভালোভাবে চলে সে জন্য মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। মিনি স্টেডিয়াম সুনির্দিষ্ট কোনো খেলার জন্য না, সব ধরনের খেলার জন্য। ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার আয়োজন করা যেতে পারে। ক্রিকেট খেলার জন্য পিচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটিকে সুরক্ষিত রেখে একপাশে ফুটবলও খেলা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন শ্রেণির ক্রীড়া দলের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী মো. সালাউদ্দিন, নারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা এবং বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২০ জুন, ২০২২,  1:19 AM

news image

সিনিয়র পর্যায়ে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স অনেকটা মলিন হলেও অনূর্ধ্ব বিভিন্ন বয়স পর্যায়ের মেয়েরা বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলছে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মারিয়া মান্ডার দল।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এটিই ছিল সেরা অর্জন। এর প্রেক্ষিতেই বয়সভিত্তিক এই নারী দলকে গতকাল রোববার নিজ কার্যালয়ে সংবর্ধনা ও অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাফজয়ী নারী দলের ২৩ সদস্য পেয়েছে ৫ লাখ অর্থ পুরস্কার।
নারী দলের পাশাপাশি সংবর্ধনা পেয়েছেন জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল'ও। ২০২০ সালে ঢাকায় মুজিব বর্ষ আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজে নেপালকে হারায় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নেয় জামাল ভুঁইয়ারা। প্রথম ম্যাচ ২-০ গোলে জিতে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ হয় গোল শূন্য ড্র। এই সিরিজ জয়ের ফলে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে সেই সিরিজের চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকা ২৫ ফুটবলার পেয়েছেন ৫ লাখ অর্থ পুরস্কার।
এছাড়া সংবর্ধনা ও অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের ১৮ জন খেলোয়াড়। পুরুষ ফুটবল দলের কোচ-কর্মকর্তা আটজন, নারী ফুটবল দলের কোচ কর্মকর্তা ১০ জন এবং ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের চারজন কর্মকর্তাকে ২ লাখ টাকা করে উপহার দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এই পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত ফুটবলাররা। সামনে আরও ভাল করার প্রত্যয় শুনিয়েছেন নারী দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আঁখি খাতুন,'এই পুরস্কার আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। সামনের ম্যাচগুলোতে আমরা যেনো আরও ভাল করতে পারি সেই পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ' জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড সুমন রেজা বলেন,'অবশ্যই এই পুরস্কার আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে। '
সিনিয়র পর্যায়ে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স অনেকটা মলিন হলেও বিভিন্ন বয়স পর্যায়ের মেয়েরা বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলছে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মারিয়া মান্ডার দল।
৮৮ জনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পাঁচজনকে ডেকে হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন।
তিনটি দলকে সংবর্ধনা দিয়ে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে হবে। যখন খেলতে নামবে তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা নিয়ে নামবে। আমি সব সময় তোমাদের পাশে আছি। তোমাদের যখন যা লাগে আমি দেবো। ’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলও ভালো করছে। ওরা ওয়ানডে স্ট্যাটাস অর্জন করেছে। এটা অনেক বড় অর্জন বলে আমি মনে করি। তবে ফুটবল খেলাটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এ জন্য আমরা আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছি। ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা ও মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলা আরও বেশি জনপ্রিয় করে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এখনকার ছেলেমেয়েরা ডাংগুলি, হাডুডু তো ভুলতে বসেছে। এসব খেলা তারা খেলেনি। আমরা খেলেছি। ডাংগুলিটা ভালো খেললে বেসবলটাও ভালো খেলতে পারবে।
প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কথাও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি জেলা-উপজেলায় যাতে খেলা ভালোভাবে চলে সে জন্য মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। মিনি স্টেডিয়াম সুনির্দিষ্ট কোনো খেলার জন্য না, সব ধরনের খেলার জন্য। ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার আয়োজন করা যেতে পারে। ক্রিকেট খেলার জন্য পিচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটিকে সুরক্ষিত রেখে একপাশে ফুটবলও খেলা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন শ্রেণির ক্রীড়া দলের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী মো. সালাউদ্দিন, নারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা এবং বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।