শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

পানি কমতে শুরু  করেছে সিলেট  ও সুনামগঞ্জে

#
news image

বন্যাকবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পানি নামতে শুরু করলেও গতকাল পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতি হতে শুরু করেছে। শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে গেছে, তবে শহরের অনেকাংশেই এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
রাস্তায় পানি উঠে যাওয়ায় রবিবার সিলেটের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও তা কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পুরো জেলায় চারশো সাতানব্বইটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। পানি নামতে থাকায় এরই মধ্যে তাদের অর্ধেকের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।
তবে এখনো অন্তত ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় গত কয়েকদিন সুনামগঞ্জ জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান রাস্তা থেকে পানি কিছুটা নেমে যাওয়ায় রবিবার রাতে সিলেট থেকে কয়েকটি গাড়ি জরুরি সেবা নিয়ে সুনামগঞ্জে পৌঁছেছে।
তবে অধিকাংশ জায়গায় পানি নামতে থাকলেও এখনো জেলার অনেক স্থানেই মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'অনেক জায়গাতে এক বাসায় চার-পাঁচটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে তাদের কাছে জরুরি সেবা ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।'
তিনি জানান জেলার বিভিন্ন স্থানের চারশো পঞ্চাশটির বেশি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখের বেশি মানুষ অবস্থান করছেন।
সুনামগঞ্জের জেলার অধিকাংশ স্থানেই এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সীমিত আকারে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হলেও গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় জেলার সব জায়গায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান জাহাঙ্গীর হোসেন।
স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী জরুরি ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছে।
তিনি আরো জানান, 'সেনাবাহিনী মূলত হাওরসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে এবং খোঁজ নিচ্ছে পানির কারনে সেসব অঞ্চলে কোথাও মানুষ আটকে রয়েছে কিনা।'

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট 

২২ জুন, ২০২২,  1:08 AM

news image

বন্যাকবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পানি নামতে শুরু করলেও গতকাল পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতি হতে শুরু করেছে। শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে গেছে, তবে শহরের অনেকাংশেই এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
রাস্তায় পানি উঠে যাওয়ায় রবিবার সিলেটের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও তা কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পুরো জেলায় চারশো সাতানব্বইটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। পানি নামতে থাকায় এরই মধ্যে তাদের অর্ধেকের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।
তবে এখনো অন্তত ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় গত কয়েকদিন সুনামগঞ্জ জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান রাস্তা থেকে পানি কিছুটা নেমে যাওয়ায় রবিবার রাতে সিলেট থেকে কয়েকটি গাড়ি জরুরি সেবা নিয়ে সুনামগঞ্জে পৌঁছেছে।
তবে অধিকাংশ জায়গায় পানি নামতে থাকলেও এখনো জেলার অনেক স্থানেই মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'অনেক জায়গাতে এক বাসায় চার-পাঁচটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে তাদের কাছে জরুরি সেবা ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।'
তিনি জানান জেলার বিভিন্ন স্থানের চারশো পঞ্চাশটির বেশি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখের বেশি মানুষ অবস্থান করছেন।
সুনামগঞ্জের জেলার অধিকাংশ স্থানেই এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সীমিত আকারে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হলেও গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় জেলার সব জায়গায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান জাহাঙ্গীর হোসেন।
স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী জরুরি ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছে।
তিনি আরো জানান, 'সেনাবাহিনী মূলত হাওরসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে এবং খোঁজ নিচ্ছে পানির কারনে সেসব অঞ্চলে কোথাও মানুষ আটকে রয়েছে কিনা।'