শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩

#
news image

বন্যার সময় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং বন্যা সৃষ্ট কিছু দুর্ঘটনায় সারা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে। এর মধ্যে শুধু পানিতে ডুবেই ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ১৭ মে থেকে আজ পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ১০ জেলায় গত ৩৮ দিনে ৭৩ জন মারা গেছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জে ২৬ জন, মৌলভীবাজারে ৩ জন এবং হবিগঞ্জে ২ জন মারা গেছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৫ জন, নেত্রকোণা জেলায় ৮ জন, জামালপুর জেলায় ৬ জন এবং শেরপুর জেলায় প্রাণহানি হয়েছে ৩ জনের।

রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে রংপুর জেলায় কারো মৃত্যু হয়নি। কুড়িগ্রামে ৩ জন এবং লালমনিরহাটে ১ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, বন্যায় সারা দেশে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গতকাল পর্যন্ত বন্যায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৬১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ১৭ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭৬ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৪৫ জন, এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন, তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনে চারজন আক্রান্ত হয়েছেন, একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে পানিতে ডুবে মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়।

চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৬ জন, চোখের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৭৮ জন, নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে ৮০ জন। এছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৭৩৫ জন, মারা গেছেন ৮ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুন, ২০২২,  11:40 PM

news image

বন্যার সময় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং বন্যা সৃষ্ট কিছু দুর্ঘটনায় সারা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে। এর মধ্যে শুধু পানিতে ডুবেই ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ১৭ মে থেকে আজ পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ১০ জেলায় গত ৩৮ দিনে ৭৩ জন মারা গেছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জে ২৬ জন, মৌলভীবাজারে ৩ জন এবং হবিগঞ্জে ২ জন মারা গেছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৫ জন, নেত্রকোণা জেলায় ৮ জন, জামালপুর জেলায় ৬ জন এবং শেরপুর জেলায় প্রাণহানি হয়েছে ৩ জনের।

রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে রংপুর জেলায় কারো মৃত্যু হয়নি। কুড়িগ্রামে ৩ জন এবং লালমনিরহাটে ১ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, বন্যায় সারা দেশে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গতকাল পর্যন্ত বন্যায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৬১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ১৭ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭৬ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৪৫ জন, এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন, তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনে চারজন আক্রান্ত হয়েছেন, একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে পানিতে ডুবে মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়।

চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৬ জন, চোখের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৭৮ জন, নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে ৮০ জন। এছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৭৩৫ জন, মারা গেছেন ৮ জন।