সীমান্তে উত্তেজনা: পতাকা বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ অক্টোবর, ২০২২, 9:26 PM

সীমান্তে উত্তেজনা: পতাকা বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে পতাকা বৈঠক হবে আগামীকাল রোববার (৩০ অক্টোবর)। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এই বৈঠক করবে। গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে এ তথ্য জানান বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। তিনি বলেন, আড়াই মাস ধরে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান গোলাগুলিকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ চলছিল।
শেখ খালিদ জানান, এসব বিষয় নিয়ে একাধিকবার বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে। যদিও পতাকা বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে এবং দুদেশের কতজন করে সদস্য অংশ নেবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি এই বিজিবি কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট থেকে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি পাহাড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। প্রায় দুই মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই।
গত ২৮ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় চারটি মর্টারশেল এসে পড়েছিল তুমব্রু উত্তরপাড়া ও বাইশফাঁড়ি এলাকায়। এ ঘটনায় ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো-কে ডেকে প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। একইদিন বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে উড়ে যায় মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার।সর্বশেষ গত ২৩ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নতুন করে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণ। টানা দুই দিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকে এই গোলাগুলি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ অক্টোবর, ২০২২, 9:26 PM

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে পতাকা বৈঠক হবে আগামীকাল রোববার (৩০ অক্টোবর)। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এই বৈঠক করবে। গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে এ তথ্য জানান বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। তিনি বলেন, আড়াই মাস ধরে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান গোলাগুলিকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ চলছিল।
শেখ খালিদ জানান, এসব বিষয় নিয়ে একাধিকবার বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে। যদিও পতাকা বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে এবং দুদেশের কতজন করে সদস্য অংশ নেবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি এই বিজিবি কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট থেকে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি পাহাড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। প্রায় দুই মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই।
গত ২৮ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় চারটি মর্টারশেল এসে পড়েছিল তুমব্রু উত্তরপাড়া ও বাইশফাঁড়ি এলাকায়। এ ঘটনায় ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো-কে ডেকে প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। একইদিন বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে উড়ে যায় মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার।সর্বশেষ গত ২৩ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নতুন করে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণ। টানা দুই দিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকে এই গোলাগুলি।