যুদ্ধ থামাতে ইইউকে ভূমিকা নিতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক
১১ নভেম্বর, ২০২২, 3:11 AM

যুদ্ধ থামাতে ইইউকে ভূমিকা নিতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন ফর হোম অ্যাফেয়ার্স ইলভা ইয়োহানসনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করতে এলে তাদের এই আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস ও ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হুটেলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বোঝা এবং নতুন শিশু জন্মগ্রহণের সাথে সাথে প্রতিদিন এই সংখ্যা বাড়ছে।”
ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতা ইলভা ইয়োহানসন বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে ইইউ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
বর্তমানে ৪৫ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয় দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
বৈঠকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
ইইউ নেতা বলেন, ইইউ নেতৃবৃন্দ ও বৈধ অভিবাসীরা পরস্পরের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে উভয়ের কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।
এ সময় ইইউ প্রতিনিধি দল জানতে চায় যে, বাংলাদেশ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি গ্রহণ করে বলে আমরা যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম।”
সরকারপ্রধান বলেন, “ধনী দেশগুলো- যারা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ দেয়নি। ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।”
অনলাইন ডেস্ক
১১ নভেম্বর, ২০২২, 3:11 AM

রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন ফর হোম অ্যাফেয়ার্স ইলভা ইয়োহানসনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করতে এলে তাদের এই আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস ও ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হুটেলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বোঝা এবং নতুন শিশু জন্মগ্রহণের সাথে সাথে প্রতিদিন এই সংখ্যা বাড়ছে।”
ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতা ইলভা ইয়োহানসন বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে ইইউ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
বর্তমানে ৪৫ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয় দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
বৈঠকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
ইইউ নেতা বলেন, ইইউ নেতৃবৃন্দ ও বৈধ অভিবাসীরা পরস্পরের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে উভয়ের কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।
এ সময় ইইউ প্রতিনিধি দল জানতে চায় যে, বাংলাদেশ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি গ্রহণ করে বলে আমরা যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম।”
সরকারপ্রধান বলেন, “ধনী দেশগুলো- যারা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ দেয়নি। ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।”