শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

মাদকের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

#
news image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন মাদকের কারবার বন্ধে যে কোন ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হবে।
শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের রামুতে বিজিবি’র আঞ্চলিক সদর দফতরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের দেশে মাদকসেবীর ৮০ শতাংশ হচ্ছে তরুণ। এই তরুণ সমাজের অধিকাংশ নানা অপরাধে জড়িত। তাই দেশের তরুণ সমাজকে বাঁচাতে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়ন করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ২৮৩ কিলোমিটার দুর্গম সীমান্ত। সে জন্য বিজিবি’র সক্ষমতা বাডিয়ে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থল ও নদী পথে সক্ষমতা দিয়ে বিজিবি আরো দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করছে। প্রয়োজনে বিজিবিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আরো শক্তিশালী করা হবে।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশের দুর্যোগকালীন সময়ে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি হচ্ছে সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী। তাই বিজিবিকে আরও আধুনিকায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।


বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও সার্বজনীন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন। বিজিবিকে বিশ্বমানের একটি আধুনিক ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক ও কানিজ ফাতেমা আহমদ, সেনা বাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মো. ফখরুল আহসান, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার রেজোয়ান হায়াত, বিজিবি কক্সবাজার অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তাগণ।


মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে বিজিবি কক্সবাজার অঞ্চলের অধীনে ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিগত এক বছরে উদ্ধারকৃত ৯০ লক্ষ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, ২৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৬,৭৬৭ ক্যান বিয়ার, ১,৩৩৯ বোতল মদ, ১৫৪ বোতল ফেন্সিডিল, ২০৬ লিটার বাংলা মদ, ১৭ কেজি গাঁজা, ৪৮ হাজার পিস বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট এবং ১০,৯৮৪ প্যাকেট সিগারেট ধ্বংস করা হয়েছে। এসব মাদক দ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৯৫ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ মে, ২০২২,  8:08 PM

news image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন মাদকের কারবার বন্ধে যে কোন ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হবে।
শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের রামুতে বিজিবি’র আঞ্চলিক সদর দফতরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের দেশে মাদকসেবীর ৮০ শতাংশ হচ্ছে তরুণ। এই তরুণ সমাজের অধিকাংশ নানা অপরাধে জড়িত। তাই দেশের তরুণ সমাজকে বাঁচাতে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়ন করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ২৮৩ কিলোমিটার দুর্গম সীমান্ত। সে জন্য বিজিবি’র সক্ষমতা বাডিয়ে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থল ও নদী পথে সক্ষমতা দিয়ে বিজিবি আরো দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করছে। প্রয়োজনে বিজিবিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আরো শক্তিশালী করা হবে।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশের দুর্যোগকালীন সময়ে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি হচ্ছে সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী। তাই বিজিবিকে আরও আধুনিকায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।


বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও সার্বজনীন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন। বিজিবিকে বিশ্বমানের একটি আধুনিক ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক ও কানিজ ফাতেমা আহমদ, সেনা বাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মো. ফখরুল আহসান, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার রেজোয়ান হায়াত, বিজিবি কক্সবাজার অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তাগণ।


মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে বিজিবি কক্সবাজার অঞ্চলের অধীনে ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিগত এক বছরে উদ্ধারকৃত ৯০ লক্ষ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, ২৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৬,৭৬৭ ক্যান বিয়ার, ১,৩৩৯ বোতল মদ, ১৫৪ বোতল ফেন্সিডিল, ২০৬ লিটার বাংলা মদ, ১৭ কেজি গাঁজা, ৪৮ হাজার পিস বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট এবং ১০,৯৮৪ প্যাকেট সিগারেট ধ্বংস করা হয়েছে। এসব মাদক দ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৯৫ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।