শিরোনামঃ
কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমান সামগ্রী ব্যবহার, সরকারী অর্থ নয়ছয়! সিএনজি চালক থেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মাসুম, সমালোচনার ঝড় পঙ্গু হাসপাতালে যেনো পুকুর চুরির মতো ঘটনা" ১১ কোটি টাকার কাজে অনিয়ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড : ঐক্য পরিষদ এর সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা! এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে পারছেন না ঐক্য পরিষদের নেতারা মব জাস্টিস প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, পুলিশের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা

পদ্মা সেতু : দক্ষিণাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ফলে ঢাকামুখি অভিবাসীর চাপ কমবে

#
news image

পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণের জেলাগুলো থেকে ঢাকামুখি অভিবাসীদের চাপ কমে যাবে বলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মনে করেন।
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত এর মতে, বিশেষ করে যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি আছে সেখানে মানুষ বেশি যাবে। এটাই স্বাভাবিক। ফলে চেষ্টা করতে হবে স্থানীয় পর্যায়ে মানুষ যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারে, সে ধরনের সুযোগ তৈরি করা।
সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বাসসকে বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের সুযোগ সৃষ্টির সবচেয়ে বড় সুযোগ ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। সেটি হচ্ছে যোগাযোগ মাধ্যমের অভূতপূর্ব সুবিধা স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটি চালু হলে নিরবিচ্ছিন্ন এবং দ্রুত যোগাযোগের কারনে প্রয়োজনে মানুষ ঢাকা গেলেও আবার দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারবেন। ঢাকায় ভাসমান এবং বাস্তুগড়া মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও জীবন-জীবিকার স্থানীয় নানা উদ্যোগ এই উপকূলের মানুষকে আর ঢাকা-মুখি হতে উৎসাহ দেবে না।
বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বাসস’কে বলেন, পদ্মা সেতুর কল্যাণে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কৃষি উদ্যোগ বৃদ্ধি, শিল্পাঞ্চল তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচনের প্রসার ঘটবে। এ অঞ্চলের মানুষেরা স্বপ্নের বীজ বুনতে শুরু করেছে। তৈরি হচ্ছে একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী, খামারী; বড় মাপের বিনিয়োগ করেছেন আগ্রহী পরিবহন ব্যবসায়ীরা। বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছে জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তারা। তাই জীবিকার তাগিতে রাজধানীমুখি হবেন না অনেক পেশাজীবীরাই।
আমতলী সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জানান, স্বল্প সময়ে যদি কর্মস্থলে যাতায়াত করা যায়, তবে রাজধানীতে নতুন করে বাস্তু-চাপ তো বাড়বেই না বরং এতোদিন যারা বাধ্য হয়ে ঢাকায় থেকেছেন তার অনেক অংশই পদ্মার এপাড়ে এসে আবাস গড়বেন। পদ্মাসেতু চালু হলে বরিশাল শহরে বসবাসকারীরা অনায়াসে অফিস টাইমে ঢাকা পৌঁছতে পারবেন আবার ঢাকা থেকে ফিরবেন। বরিশালের দক্ষিণে সবগুলো নদীর উপর সেতু নির্মিত হওয়াতে পটুয়াখালী ও বরগুনার মানুষ দেড় ঘন্টা সময় বেশি ব্যয় করলেই একই সুবিধা পাবেন।
‘জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন’ প্রকল্প বাস্তবায়নকারি উন্নয়ন সংস্থা এনএসএস’র নির্বাহি পরিচালক অ্যাড. শাহাবুদ্দিন পান্না আলাপকালে বলেন, রাজধানী শহরে জীবন যাপন এমনিতেই ব্যয়বহুল। ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাটি, ও বরগুনার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশেষ করে নদীভাঙ্গন ও মাটির রূপ পরিবর্তনে কৃষি কাজে ব্যর্থ হয়ে বাস্তুহারা হিসেবে কর্মসংস্থানের জন্যই ঢাকার দিকে ছুটছেন। সেখানে তারা উপায় না পেয়ে বাস্তুু গড়ে তুলছেন।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। ঢাকার সঙ্গে বরগুনার সড়ক যোগাযোগে এতোদিন ২০টির বেশি বাস কোম্পানি যাত্রী সেবা দিয়ে আসছিলো। পদ্মা সেতুর কল্যাণে ইতোমধ্যে আরও ১৫টি কোম্পানির বাস এ রুটে সংযোজিত হতে যাচ্ছে। মানুষ সকালে ঢাকায় গিয়ে কাজ শেষ করে রাতে বাড়ি এসে ঘুমাতে পারবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ জুন, ২০২২,  8:55 PM

news image

পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণের জেলাগুলো থেকে ঢাকামুখি অভিবাসীদের চাপ কমে যাবে বলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মনে করেন।
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত এর মতে, বিশেষ করে যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি আছে সেখানে মানুষ বেশি যাবে। এটাই স্বাভাবিক। ফলে চেষ্টা করতে হবে স্থানীয় পর্যায়ে মানুষ যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারে, সে ধরনের সুযোগ তৈরি করা।
সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বাসসকে বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের সুযোগ সৃষ্টির সবচেয়ে বড় সুযোগ ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। সেটি হচ্ছে যোগাযোগ মাধ্যমের অভূতপূর্ব সুবিধা স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটি চালু হলে নিরবিচ্ছিন্ন এবং দ্রুত যোগাযোগের কারনে প্রয়োজনে মানুষ ঢাকা গেলেও আবার দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারবেন। ঢাকায় ভাসমান এবং বাস্তুগড়া মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও জীবন-জীবিকার স্থানীয় নানা উদ্যোগ এই উপকূলের মানুষকে আর ঢাকা-মুখি হতে উৎসাহ দেবে না।
বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বাসস’কে বলেন, পদ্মা সেতুর কল্যাণে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কৃষি উদ্যোগ বৃদ্ধি, শিল্পাঞ্চল তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচনের প্রসার ঘটবে। এ অঞ্চলের মানুষেরা স্বপ্নের বীজ বুনতে শুরু করেছে। তৈরি হচ্ছে একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী, খামারী; বড় মাপের বিনিয়োগ করেছেন আগ্রহী পরিবহন ব্যবসায়ীরা। বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছে জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তারা। তাই জীবিকার তাগিতে রাজধানীমুখি হবেন না অনেক পেশাজীবীরাই।
আমতলী সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জানান, স্বল্প সময়ে যদি কর্মস্থলে যাতায়াত করা যায়, তবে রাজধানীতে নতুন করে বাস্তু-চাপ তো বাড়বেই না বরং এতোদিন যারা বাধ্য হয়ে ঢাকায় থেকেছেন তার অনেক অংশই পদ্মার এপাড়ে এসে আবাস গড়বেন। পদ্মাসেতু চালু হলে বরিশাল শহরে বসবাসকারীরা অনায়াসে অফিস টাইমে ঢাকা পৌঁছতে পারবেন আবার ঢাকা থেকে ফিরবেন। বরিশালের দক্ষিণে সবগুলো নদীর উপর সেতু নির্মিত হওয়াতে পটুয়াখালী ও বরগুনার মানুষ দেড় ঘন্টা সময় বেশি ব্যয় করলেই একই সুবিধা পাবেন।
‘জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন’ প্রকল্প বাস্তবায়নকারি উন্নয়ন সংস্থা এনএসএস’র নির্বাহি পরিচালক অ্যাড. শাহাবুদ্দিন পান্না আলাপকালে বলেন, রাজধানী শহরে জীবন যাপন এমনিতেই ব্যয়বহুল। ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাটি, ও বরগুনার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশেষ করে নদীভাঙ্গন ও মাটির রূপ পরিবর্তনে কৃষি কাজে ব্যর্থ হয়ে বাস্তুহারা হিসেবে কর্মসংস্থানের জন্যই ঢাকার দিকে ছুটছেন। সেখানে তারা উপায় না পেয়ে বাস্তুু গড়ে তুলছেন।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। ঢাকার সঙ্গে বরগুনার সড়ক যোগাযোগে এতোদিন ২০টির বেশি বাস কোম্পানি যাত্রী সেবা দিয়ে আসছিলো। পদ্মা সেতুর কল্যাণে ইতোমধ্যে আরও ১৫টি কোম্পানির বাস এ রুটে সংযোজিত হতে যাচ্ছে। মানুষ সকালে ঢাকায় গিয়ে কাজ শেষ করে রাতে বাড়ি এসে ঘুমাতে পারবেন।